নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর যাদবপুরের কলা বিভাগে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে বিরাট ব্যবধানে জয়লাভ করল এসএফআই। প্রথমবার নেমে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দ্বিতীয় হয়েছে এবিভিপি। কলা বিভাগেও হাতে গোনা ভোট পেয়েছে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন। ভোটের ফলপ্রকাশের পরই দুই ছাত্র সংগঠনকে মিলিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে বাকি কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করার বার্তা দিল তারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যাদবপুরে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে কলাবিভাগে প্রত্যাশিতভাবেই বিরাট ব্যবধানে জিতেছে SFI। আবার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এসএফআই-কে টপকে দ্বিতীয়স্থানে এবিভিপি। ভোটের ফলপ্রকাশের পর সন্তোষপ্রকাশ করল দুই ছাত্র সংগঠনই। আর দুই সংগঠনের নেতার নিশানাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দাবিও এক। রাজ্যের বাকি কলেজগুলিতেও নির্বাচন করাতে হবে। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন,''যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন। এবিভিপি-কে প্রত্যাখ্যান করেছে ওরা। বিশেষ করে কলাবিভাগের ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন। তাঁরা এসএফআইয়ের উপরে ভরসা রেখেছেন। বামেরা আছে বলেই বিনা বাধায় ভোটে লড়তে পেরেছে সকলে। এটা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের শেখা দরকার। পশ্চিমবঙ্গের বাকি ক্যাম্পাসগুলি দখলে রেখেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেখানেও ভোটে লড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। স্পষ্ট হয়ে যাবে ছাত্রছাত্রীরা বামপন্থীদের সঙ্গেই রয়েছে।''
      
দক্ষিণবঙ্গ এবিভিপি-র রাজ্য সম্পাদক তথা যাদবপুরের পড়ুয়া সুরঞ্জন সরকারের গলাতেও একইসুর। তাঁর কথায়, ''যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদের  উন্নতির ইস্যু নিয়ে লড়েছিল। মিথ্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে পড়ুয়ারা। বামপন্থীদের মিথ্যার রাজনীতি ও শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের গুন্ডাগিরি দেখেছে। তা থেকে মুখ ফরিয়ে নিয়েছে। দ্বিতীয় হয়েছি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। কলা বিভাগেও ভোট পেয়েছি। আমরা উত্সাহিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমাদের আবেদন বুকে সাহস থাকলে জেলার কলেজগুলিতে ভোট করিয়ে দেখান। তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে ছুড়ে ফেলে দেবে পড়ুয়ারা। প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুর থেকেও বামেদের ছুড়ে ফেলা হবে আগামী দিনে।'' 


আরও পড়ুন- এ তো পেহলি ঝাঁকি হ্যায়, পুরি ফিল্ম বাকি হ্যায়, যাদবপুরের ফলে উচ্ছ্বসিত দিলীপ