এ তো পেহলি ঝাঁকি হ্যায়, পুরি ফিল্ম বাকি হ্যায়, যাদবপুরের ফলে উচ্ছ্বসিত দিলীপ
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভোটে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এসএফআই-কে ছাড়িয়ে দ্বিতীয়স্থানে ABVP।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অভিষেকেই চমকপ্রদ ফল করেছে এবিভিপি। এসএফআই-কে পিছনে ফেলে উঠে এসেছে দ্বিতীয়স্থানে। তাতেই উত্সাহিত গেরুয়া শিবির। যে যাদবপুরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার কথা ভেবেছিলেন, সেখানের ছাত্রভোট নিয়ে দিলীপের প্রতিক্রিয়া, এ তো পেহলি ঝাঁকি হ্যায় আভি পুরি ফিল্ম বাকি হ্যায়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অভিষেকেই দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে এবিভিপি। সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠনের ফলে উচ্ছ্বসিত দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়,''যাদবপুরে লড়াই করেছে এবিভিপি। যাদবপুরে দেশের পরম্পরা সংস্কৃতির উপরে আঘাত করা হয়েছে। প্রতিদিন ওখান থেকে দেশের সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। এটা ওখানকার শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান ছাত্রছাত্রীরা দেশের ভবিষ্যত। এ তো পেহলি ঝাঁকি হ্যায় আভি পুরি ফিল্ম বাকি হ্যায়।''
এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেন্ট্রাল প্যানেলে ডিএসএ প্রার্থী পেয়েছেন ৩,৩০৪ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে এবিভিপি ভোট পেয়েছে ৫০৮টি। ২৮৮টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে SFI। সাধারণ সম্পাদক পদে ডিএসএফ প্রার্থীর ভোট ৩ হাজার ৩২০। এবিভিপির প্রাপ্ত ভোট ৫২৮টি। ২৬৫টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে এসএফআই। তিনটি সহ-সাধারণ সম্পাদক পদেও জিতেছেন ডিএসএ প্রার্থীরা। তার মধ্যে দুটি স্থানে ডিএসএ ও একটিতে এসএফআই প্রার্থী রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। বিজ্ঞান বিভাগে ৩৯টি আসনের মধ্যে ৮টিতে নির্বাচন হয়েছিল। বাকি আসনে আগেই জিতেছিল উই দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট। এদিন ওই ৮টি আসনে জিতেছেন ডব্লুটিআই প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে কখনও দলীয় প্রতীকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভোটে সরাসরি লড়াইয়ে নামেনি এবিভিপি। জাতীয়তাবাদী সংগঠনের আড়ালে একটি বা দুটি আসনেই লড়াই সীমাবদ্ধ থেকেছে ভোটযুদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবার কলা বিভাগ ও ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের সিপি, জিএস, এজিএস ডে, এজিএস ইভিনিং-সব পদেই প্রার্থী দিয়েছিল ABVP। তবে কলা বিভাগে সুবিধা করতে পারেনি গেরুয়া ছাত্র সংগঠন।
আরও পড়ুন- লালে লাল যাদবপুর, প্রত্যাশামতোই কলা বিভাগে দাপট SFI-র