নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিবাদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। সারা দেশে যাঁরাই প্রতিবাদ করছে, তাঁদের উপরেই পাল্টা আক্রমণ শানানো হচ্ছে। JNU কাণ্ডে ছাত্র সংসদ সভানেত্রী ঐশী ঘোষের নামে FIR দায়ের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস। বলেন, "যাঁরা রবিবারের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আমরা তাঁদের শনাক্ত করেছি। নাম পরিচয় দিয়েছি। তা সত্ত্বেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। শনিবার সার্ভার রুমে হামলার ঘটনায় এসএফআই-এর কেউ যুক্ত নেই। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের অসন্তোষ দেখা গিয়েছে।" উল্লেখ্য, জেএনইউ কাণ্ডে মোট ১৯ জনের নামে FIR দায়ের করেছে দিল্লি পুলিস। যারমধ্যে নাম রয়েছে JNUSU সভাপতি ঐশী ঘোষের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউ-র ক্যাম্পাস ও হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালায় মুখোশ পরা একদল দুষ্কৃতী। বেধড়ক মারধর করা হয় ছাত্র ও শিক্ষকদের। দুষ্কৃতীদের মারে মাথা ফাটে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের। পড়ুয়াদের অভিযোগ, হামলার পিছনে রয়েছে ABVP। বহিরাগতদের নিয়ে হামলা চালিয়েছে ABVP। যদিও, এবিভিপির তরফে দাবি করা হয়েছে হামলার পেছনে বাম রয়েছে ছাত্র সংসদের সমর্থকরা। এটা সাজানো ঘটনা।


প্রসঙ্গত, JNU-র উপাচার্য জগদেশ কুমার সোমবার জেএনইউ-র হামলার তীব্র নিন্দা করেও দাবি করেছেন, এই ঘটনা বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের কৃতকর্মেরই ফল। দাবি করেন, কিছু বিক্ষোভকারী পড়ুয়া হিংসা ছড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্তকরণে ইচ্ছুক পড়ুয়াদেরও বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ সব কারণেই এই বর্তমান পরিস্থিতি। উপাচার্য জানান, এ ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। দোষীরা শাস্তি পাবেই।


আরও পড়ুন, 'বিজেপি ভেবে ভুল করে লাঠিচার্জ', JU পড়ুয়াদের কাছে ক্ষমা চাইলেন পুলিসকর্তা!


এরপরই FIR দায়ের করে দিল্লি পুলিস। কিন্তু সেখানে রবিবারের হামলার ঘটনা নিয়ে কারও নাম না থাকলেও, শনিবার সার্ভার রুমে ভাঙচুর সহ রেজিস্ট্রেশনের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ঐশী ঘোষ সহ ১৯ জনের নাম রয়েছে। যদিও, আক্রান্ত ঐশী ঘোষ সোমবাই স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, "পরিকল্পনা করেই এই হামলা করা হয়েছে। মার খাওয়ার পরও হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।"