'বিজেপি ভেবে ভুল করে লাঠিচার্জ', JU পড়ুয়াদের কাছে ক্ষমা চাইলেন পুলিসকর্তা!
পড়ুয়াদের অভিযোগ, লাঠি উঁচিয়ে ছাত্রদের দিকে তেড়ে যায় পুলিস। পুলিস নির্বিচারে তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : "ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গিয়েছিল। আমরা বিজেপিকে তাড়া করছিলাম। সেইসময়ই কিছু পড়ুয়া তার মধ্যে পড়ে যায়। কর্তব্যরত কনস্টেবল ও অফিসাররা বুঝতে পারেননি, কারা বিজেপি ও কারা পড়ুয়া ছিলেন। পড়ুয়াদের উপর লাঠিচার্জ বা পড়ুয়াদের মারার কোনও উদ্দেশ্য পুলিসের ছিল না। কেউ আহত হয়ে থাকলে আমি ক্ষমা চাইছি।" সোমবার সন্ধ্যায় যাদবপুরের সুলেখা মোড়ে পড়ুয়াদের উপর পুলিসের লাঠিচার্জের অভিযোগের প্রেক্ষিতে 'সাফাই' দিলেন ডিসি এসএসডি সুদীপ সরকার। ক্যামেরার সামনে ক্ষমা চেয়ে নিলেন তিনি।
JNU কাণ্ডের প্রতিবাদে ৩ দলের মিছিল সোমবার সন্ধ্যায় মুখোমুখি হয় সুলেখা মোড়ে। যাদবপুরের পড়ুয়াদের একটি মিছিল সুলেখা পৌঁছয়। একইসময়ে ওই চত্বরে পৌঁছয় সিপিআইএম ও বিজেপির দুটি মিছিল। বাঘাযতীন মোড় থেকে এনআরসির সমর্থমনে বিজেপির একটি মিছিল এগোতে থাকে যাদবপুরের দিকে। অন্যদিকে, জেএনইউ পড়ুয়াদের উপরে হামলার প্রতিবাদে রবিবারের মতো সোমবারও একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এর পাশাপাশি, ৮ তারিখ, বুধবার বনধের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে বামেরা। ৩টি মিছিল মুখোমুখি হয়ে যায় সুলেখা মোড়ে। তারপরই শুরু হয় অশান্তি। শুরু হয় বচসা, ধস্তাধস্তি।
আরও পড়ুন, JNU কাণ্ডে ছাত্র সংসদ সভানেত্রী ঐশী ঘোষ সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের FIR
মুখোমুখি সংঘাতের সম্ভাবনায় সতর্ক ছিল পুলিস। ৩ পক্ষকেই হঠিয়ে দেয় পুলিস। কিন্তু মিছিল হঠানোকে কেন্দ্র করেই ধুন্ধুমার বাঁধে সুলেখা মোড়ে। যাদবপুরের কয়েকজন পড়ুয়ার সঙ্গে সেই সময়ই ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় পুলিসের। পড়ুয়াদের অভিযোগ, লাঠি উঁচিয়ে ছাত্রদের দিকে তেড়ে যায় পুলিস। যাদবপুরের আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, পুলিস নির্বিচারে তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। আন্দোলন-বিক্ষোভের জেরে প্রায় ৩ ঘণ্টা সুলেখা মোড় এলাকায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায় সোমবার সন্ধ্যায়। যার জেরে চরম সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা।