Kolkata Firing: রাতে পানশালা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যুবককে গুলি! গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
ধৃত সাব্বির মণ্ডলকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। ঠিক কী ঘটেছিল? কেন গুলি চলল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। গুলিবিদ্ধ যুবক ভর্তি হাসপাতালে।
পিয়ালী মিত্র ও তথাগত চক্রবর্তী: হাইল্য়ান্ড পার্কে বচসা, নরেন্দ্রপুরে 'গুলি'। গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। ধৃতকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতে নির্দেশ দিল আদালত। ফের শুটআউট কলকাতায়।
জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুরের আদর্শনগর এলাকার বাসিন্দা পিন্টু বাগ। ২৪ ডিসেম্বর, শনিবার রাতে সার্ভে পার্ক থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে হাইল্যান্ডে পার্কের একটি পানশানায় গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ৪ বন্ধুও। তাঁদের মধ্যে দু'জন মহিলা।
অভিযোগ, ওই পানশালায় বসার জায়গা নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বচসা হয় পিন্টুর। এরপর যখন পানশানা থেকে বেরিয়ে নিচে পার্কিং লটে পৌঁছন, তখন ওই যুবককে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া নরেন্দ্রপুরে। কেন? আক্রান্ত যুবকের দাবি, নরেন্দ্রপুরের কন্দর্পপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অভিযুক্তরা। সঙ্গে মারধর ও ছিনতাইও! হাতে গুলি লেগেছে পিন্টুর।
এদিকে এই ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন খোলা আকাশের নিচে। ঘড়িতে তখন পৌনে ৫টা। এদিন ভোরে পিন্টুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর বাড়ির লোকেরাই। অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। মূল অভিযুক্ত সাব্বির মণ্ডল এখন পুলিসের হেফাজতে।সেদিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? কেন গুলি চলল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Rashid Khan: রশিদ খানের গাড়িচালককাণ্ড! বিভাগীয় তদন্তে পুলিসকে 'ক্লিনচিট'
এর আগে, কলকাতার এন্টালি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক প্রৌঢ়ের। কীভাবে ঘটনার দিন রাতে পটারি রোডে ভাইয়ের বাড়ি খাওয়াদাওয়া সেরে দাদার দোকানে ঘুমাতে যাচ্ছিলেন রতন কুমার সাঁধুখা। বাড়ির কাছে একটি গলিতে আচমকাই পেটে গুলি লাগে তাঁর! এরপর কোনওমতে নিজের বাড়ি আশ্রয় নেন তিনি। শেষপর্যন্ত হাসপাতালে রতনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয়দের দাবি, সেদিন নাকি টার্গেট ছিলেন দীপক দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী। যখন বাইকে করে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা তপন হালদার। সেই গুলি লক্ষ্য়ভ্রষ্ট হয়ে লাগে রতন কুমার সাঁধুখার পেটে।