বিক্রম দাস ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রোজভ্যালি ও সারদাকাণ্ডে যুক্ত থাকায় গ্রেফতার প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা। বৃহস্পতিবার কসবার একটি শপিং মলে মোহতার সংস্থা শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মসের সদর দফতর থেকে প্রথমে তাঁকে আটক করেন সিবিআই আধিকারিকরা। নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায় সিবিআইয়ের সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু গ্রেফতারি এড়াতে চেষ্টার কসুর করেননি শ্রীকান্ত। নিজের কর্মী ও পুলিসকে ব্যবহার করে পার পেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সিবিআই আধিকারিকদের অনড় অবস্থানে সফল হননি তাঁর চেষ্টা। 


এদিন দুপুরে শ্রীকান্ত মোহতাকে জেরা করতে তাঁর দফতরে পৌঁছেই বাধার মুখে পড়েন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ান শ্রীকান্ত মোহতার সংস্থার কর্মীরা। প্রথমে সিবিআই আধিকারিকদের দফতরে ঢুকতেই দিতে চাননি তাঁরা। এই নিয়ে দু'পক্ষের বিতণ্ডাও শুরু হয়। এরই মধ্যে কসবা থানায় ফোন করে খবর যায় শ্রীভেঙ্কটেশ ফিলমসের দফতর থেকে। 


ফোন পেয়ে শ্রীকান্ত মোহতার দফতরে পৌঁছন কসবা থানার ওসি, অতিরিক্ত ওসি-সহ একাধিক আধিকারিক। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পরিচয় নিশ্চিত হতেই মোহতার দফতর ছাড়েন পুলিস আধিকারিকরা। 


ওদিকে সিবিআই আধিকারিকদের অভিযোগ, তাদের কাজে এদিন বাধা দিয়েছে কলকাতা পুলিস। তবে কসবা থানার তরফে জানানো হয়, আইন-শৃঙ্খলার অবনতির খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছেছিলেন পুলিস আধিকারিকরা। 


হার্দিক ও রাহুলের উপর থেকে নির্বাসন তুলে নিল বিসিসিআই


উপায় নেই বুঝে অবশেষে শ্রীভেঙ্কটেশ ফিলমসের দফতরে ঢুকতে দেওয়া হয় সিবিআই আধিকারিকদের। দীর্ঘ চেষ্টার পর শ্রীকান্ত মোহতার কাছে পৌঁছতে পারেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, এর পর শ্রীকান্ত মোহতার কাছে নির্দিষ্ট কয়েকটি নথি দেখতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। যার কোনওটিই দেখাতে পারেননি ওই প্রযোজক। এর পরই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। গ্রেফতারি আসন্ন বুঝে নিজের দফতর ছাড়তে চাননি শ্রীকান্ত মোহতা। একপ্রকার জোর করেই তাঁকে দফতর থেকে বার করেন সিবিআই আধিকারিকরা। 


সূত্রের খবর, যেহেতু সারদা ও রোজভ্যালি মামলা ভূবনেশ্বর কোর্টে বিচারাধীন, তাই আগামিকাল শ্রীকান্তকে সেখানে নিয়ে যেতে পারে সিবিআই। তোলা হতে পারে ভুবনেশ্বর আদালতে। জেরার জন্য শ্রীকান্তকে সেখানে হেফাজতে চাইতে পারে সিবিআই।