নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভায় পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। আজ রাজ্যসভায় বিল পেশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিল পেশের পর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উচ্চকক্ষ। ওদিকে এনআরসি-র প্রতিবাদে বিক্ষোভে জ্বলছে অসম, ত্রিপুরা, অরুণাচলপ্রদেশ। ত্রিপুরায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। অসমেও ১০ জেলায় বন্ধ করা হল ইন্টারনেট পরিষেবা। এনআরসি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ উত্তর-পূর্বের ৩ রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গেও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংবাদিক বৈঠকে সিদিকুল্লা চৌধুরী জানান, আগামি শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাবেন তাঁরা। বলেন, "আমাদের অবদান ছাড়া ভারত স্বাধীন হত না। এই গা জোয়ারি চলবে না। গোটা বাংলায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ হবে। ২২ ডিসেম্বর বড় জনসভা করা হবে।" কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলাকে 'টার্গেট' করছে বলেও তোপ দাগেন সিদ্দিকুল্লা। প্রসঙ্গত, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী তৃণমূলের মন্ত্রী হলেও রাজ্যে জমিয়ত-এ-উলেমা-হিন্দের নেতা হিসেবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে।


উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন,  নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(Citizenship Amendment Bill) নিয়ে মিথ্যে রটানো হচ্ছে। এনিয়ে বেশ কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই। এই বিলে দেশের মুসলিমদের কোনও ক্ষতি হবে না। তাঁরা এদেশের নাগরিক ছিলেন এবং থাকবেন। এনিয়ে দেশের একজন মুসলিমেরও শঙ্কার কোনও কারণ নেই।  এনিয়ে যা রটানো হচ্ছে তা ঠিক নয়। মোদী সরকারের নেতৃত্বে এদেশের মুসলিমরা নিরাপদ। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে বিশ্বের সব দেশের মুসলিমদের এদেশে আশ্রয় দিতে হবে। কোথা থেকে দেব! কীভাবে চলবে দেশ!


আরও পড়ুন, 'হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ মতুয়া না,' ধরনায় মমতা বালার অনুপস্থিতিতে বিস্ফোরক জ্যোতিপ্রিয়


বিলটি সম্পর্কে শাহ আরও বলেন, এই বিলটি আনা হয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় কারণে অত্যাচরিত সংখ্যালঘুদের জন্য। এদের সঙ্গে এদেশের মুসলিমদের কোনও সম্পর্ক নেই।  প্রতিবেশী দেশের অমুসলিমরা যারা এখানে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন তাদের কী হবে? কোথায় যাবেন তাঁরা? তাদের জন্যই এই বিল আনা হয়েছে।