মাটিতেই কি বসে যাচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেরিটেজ বিল্ডিং? চিন্তায় কর্তৃপক্ষ
আইসিইউ-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ রয়েছে এই বিল্ডিং-এ। যেখানে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০- রও বেশি রোগী চিকিৎসাধীন। আর তাতেই রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত কলেজ কর্তৃপক্ষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মেডিক্যাল কলেজের MCH ভবনে পিলার ও দেওয়ালে ফাটল। ১,২, ৩ ও ৪ নম্বর মেইন পিলারের উপর একাধিক জায়গায় বড়সড় ফাটল দেখা গিয়েছে। আর ক্রমশ বাড়ছে সেই ফাটল। আইসিইউ-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ রয়েছে এই বিল্ডিং-এ। যেখানে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০- রও বেশি রোগী চিকিৎসাধীন। আর তাতেই রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় PWD-র বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই PWD-কে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এই বিল্ডিং-এর পাশেই তৈরি হচ্ছে ১১ তলা সুপার স্পেশালিটি ক্যান্সার চিকিৎসার বিল্ডিং। আর তাতেই এই বিপত্তি বলে বলে মনে করা হচ্ছে। তাহলে মাটিতেই কি বসে যাচ্ছে হেরিটেজ বিল্ডিং? চিন্তায় পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ব্যবস্থা নিতে তড়িঘড়ি চিঠি দিয়ে বিষয়টি পূর্ত দফতরকে জানানো হয়েছে।
এখন প্রশ্ন, নিয়ম ভেঙে কোনও বার না লাগিয়েই খোঁড়া হয়েছিল এই বিল্ডিং-এর পাশের অংশ। শুরুর দিকে ফাটল দেখা দিলে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল কাজ। তারপর লোহার খুঁটিও পোঁতা হয় চারপাশে। পলিথিন পর্দা টাঙিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় ফাটলের অংশ। কেমিক্যাল ও সিমেন্টের মিশ্রণও দেওয়া হয় ওই ফাটলে। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পরই ফের মাটির নীচে ৪০ ফুট গর্ত খুঁড়ে কাজ শুরু হয়। ফের নজরে আসে সেই ফাটল যা ক্রমশ বৃহৎ আকার নিচ্ছে। হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, "ফাটল নজরে আসতেই PWD-কে জানাই। চিঠি দিয়েছি। আমরা চিন্তিত রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে।"
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে ধৃত কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘটনায় ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ফের বৌবাজার আতঙ্কের দিনগুলো চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই। তাহলে কি মাটির নিচে বসে যাচ্ছে এশিয়ার প্রথম মেডিক্যাল কলেজ, দেড় শতাব্দি আগে তৈরি হয় এই চিকৎসার এই প্রতিষ্ঠান? উত্তর নেই PWD কর্তৃপক্ষের কাছেও।
অভিযোগ, এভাবে হেরিটেজ বিল্ডিং-এর কয়েক ফুট দূরত্বে মাটির নিচে গভীর গর্ত করার সময় কেন pwd নিয়ম মেনে লোহার বার দিয়ে তা করেনি? কেন মাস চারেক আগে নিয়ম বিরুদ্ধ ভাবে মাটি খুঁড়ে বহুতল তৈরির সময় চিড় ফাটল দেখা দেওয়ার পরও সতর্ক হয়নি কর্তারা? কেন, প্রথম থেকেই নজরদারি নেই? নিরাপত্তার খরচ বাঁচিয়ে এভাবে বহুতল তৈরি বেআইনি। তাহলে এই বেআইনি নির্মাণে PWD হাত গুটিয়ে বসে কেন? উঠছে এমনই একাধিক প্রশ্ন।