মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে জুতোর পর এবার অনুব্রত মণ্ডলের দিকে ধেয়ে এল 'গোরুচোর' চিৎকার। এসএসকেএমে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যখন বেরিয়ে আবার গাড়িতে ওঠেন, তখনই তাঁকে উদ্দেশ করে শোনা যায়, 'গোরুচোর-গোরুচোর' চিৎকার। 'অনুব্রত মণ্ডল গোরুচোর' চিৎকার করেন নাসির ওরফে বাপ্পা নামে এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, হাওড়ায় বাড়ি নাসিরের। নাসির 'গোরুচোর, গোরুচোর' বলে চিৎকার করতেই তাঁকে ঘিরে ধরে মিডিয়া। কেন তিনি অনুব্রত মণ্ডলের উদ্দেশে 'গোরুচোর' চিৎকার করলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে নাসির ওরফে বাপ্পার স্পষ্ট জবাব, 'গ্রামে কোনও গোরুচোর ধরলে, পঞ্চায়েত প্রধান বা সদস্যরা যেভাবে বিচার করে, তাকে ধরে গাছের গোড়ায় বাঁধে কিংবা লাঠি দিয়ে মারে! ওনাকেও এরকম করা উচিত। এরকম করলেই বুঝতে পারবে, আমি কতটা গোরুচোর! কীভাবে গোরু চুরি করেছি! জনসাধারণের টাকা নিয়ে...সবাই চোর।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখানেই শাস্তি নয়, রীতিমতো শাস্তির নিদানও বাতলে দেন নাসির। বলেন, 'ধরতে পারলে জনসাধারণের যেরকম বিচার হয়, ন্যাড়া করে ছেড়ে দেওয়া হয়, লাঠি দিয়ে মারা হয়, সেই বিচারটাই ওনাদের চাই। তাহলেই বুঝবে...।' প্রসঙ্গত, গোরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে ফের তলব করেছে সিবিআই। কিন্তু সোমবার যে তিনি যেতে পারবেন না, তাও জানিয়ে দেন 'কেষ্ট'। এরপর সোমবার সকালে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে না গিয়ে, চিনারপার্কের ফ্ল্যাট থেকে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে পৌঁছন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন বেলা ১২টা বেজে ২৫ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে যান বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর জন্য উডবার্নের ২১৬ নম্বর কেবিন বরাদ্দ করা হয়েছিল। যদিও স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা সাফ জানিয়ে দেন যে, অনুব্রত মণ্ডলকে ভর্তির কোনও প্রয়োজন নেই। ওষুধেই তাঁর চিকিৎসা চলবে। এরপরই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় এই ঘটনা।


আরও পড়ুন, Anubrata Mandal: ওষুধেই সারবে অনুব্রতর অণ্ডকোষের সংক্রমণ, আর যে কারণে উডবার্নে ঠাঁই হল না 'কেষ্ট'র!


তাঁর পরীক্ষা করেন সাতজন চিকিৎসকের একটি মেডিক্যাল টিম। সেই টিমে ছিলেন মেডিসিন বিভাগের  সৌমিত্র ঘোষ, সার্জারি বিভাগের ড. দীপ্তেন্দ্র সরকার, কার্ডিও বিভাগের ড. সরোজ মণ্ডল, চেস্ট বিভাগের ড. সোমনাথ কুণ্ডু, ইউরোলজি বিভাগের ড. দিলীপ পাল, এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের ড. শুভঙ্কর চৌধুরি এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের ড. রাজেশ প্রামাণিক। যদিও অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরিস্থিতি এখন কেমন, সেই নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি চিকিৎসকদের কেউই। অন্যদিকে, তাঁর শরীর কেমন, তিনি সিবিআই-তে যাবেন কিনা, এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে গাড়িতে ওঠার পথে অনুব্রত মণ্ডলের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, 'এভাবে কি বলা যায়...'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)