নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি ছাড়ছেন সোনালি গুহ। তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে টুইট করেছেন তিনি। ‘বিজেপিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলাম না। আরও অনেক দলত্যাগী ফিরে আসবেন’, জানিয়েছেন সাতগাছির প্রাক্তন বিধায়ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:রাজ্যে Black Fungus-এর প্রথম বলি, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে করোনা রোগীর মৃত্যু


শনিবার টুইটে তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশে সোনালি লেখেন, ‘অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে, আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেখানে আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমন আমিও আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিন, বাকি জীবনাটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।’



আরও পড়ুন:'গৃহবন্দি' দশায় কী কী করতে পারবেন ফিরহাদরা? নিয়ম বেঁধে দিল হাইকোর্ট


এরপর জি ২৪ ঘণ্টায় তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতারা তাঁকে এড়িয়ে চলছিলেন। তাঁকে কোনও কর্মসূচিতে ডাকা হোত না। তিনি জানান, বিজেপিতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ ত্যাগ করে ভুল করেছিলেন। সোনালি গুহর এই টুইট ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দলই সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করব না। তবে তৃণমূলের ক্ষতি করার জন্য সোনালি দি বিজেপিতে গেলেন কেন? আজ যদি ভোটে তৃণমূলের খারাপ ফল হতো, তাহলে এরাই সর্বশক্তি দিয়ে তৃণমূলকে শেষ করতে চাইত। যাতায়াতের ব্যাপারটাকে এরা সুবিধাবাদী পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।“


সোনালি গুহকে খোঁচা দেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, “টুইটে মান-অভিমানের কথা বলেছেন সোনালি গুহ। উনি নিজের ইচ্ছেয় বিজেপিতে এসেছিলেন, নিজের ইচ্ছেয় চলে যাচ্ছেন। এটা একটা ব্যক্তিগত ব্যাপার।” বিধানসভা ভোটের আগে টিকিট না পেয়ে তৃণমূলত্যাগ করেন সোনালি গুহ। বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একরাশ অভিমান উগরে দেন। এবার তিনি তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে টুইট করলেন।