নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) চিঠির পাল্টা কড়া জবাবি চিঠি পাঠালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। মঙ্গলবার অধ্যক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই এবার পাল্টা জবাবি চিঠিতে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, "আপনি চিঠিতে যা করতে বলেছেন তা অভূতপূর্ব। দৃষ্টান্তমূলক। চিঠি আমার কাছে আসার আগেই তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এটা কাম্য নয়। তাছাড়া আপনার চিঠি পাওয়ার আগেই অধিবেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার রাজভবনের তরফে অধ্যক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। চিঠিতে বলা হয়, "তপশিলি জাতি ও উপজাতি কমিশন সংক্রান্ত রাজভবন এবং বিধানসভার মধ্যে চিঠি চালাচালি হয়েছে। কী কারণে রাজ্যপাল বিল পেশের অনুমোদন দিচ্ছেন না, সেটা সমস্ত নথিসহ সদনে প্রকাশ করুন অধ্যক্ষ।" রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সই না করে বিল আটকে রেখেছেন। আর তারফলেই বিধানসভার অধিবেশেন এসসি-এসটি বিল (SC-ST Bill) পেশ করা যায়নি। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয় শাসকদল। এই ইস্যুতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পৌঁছয় দিল্লিতেও। সোমবার রাজ্যসভাতেও প্রতিবাদ দেখায় তৃণমূল। ওয়াক আউট করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে রাজ্যপালের অপসারণও দাবি করে।


এরপর সেদিনই সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে রাজ্য সরকারের উদ্দেশে পাল্টা তোপ দাগেন রাজ্যপাল। জগদীপ ধনকড় বলেন, "সরকার গরুর স্পিডে চলছে, আমি রকেটের স্পিডে কাজ করছি। এই নোংরা রাজনীতি বরদাস্ত করব না। আমার কাঁধে বন্দুক রেখে এসসি-এসটি নিয়ে রাজনীতি করবেন না।" রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরই পাল্টা সুর চড়িয়েছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। "চিঠি বিধানসভার অধ্যক্ষের হাতে পৌঁছনোর আগেই কী করে তা সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে এল?" প্রশ্ন তোলেন তিনি।


আরও পড়ুন, ছাড়পত্র মিলে গিয়েছে, ৭ দিনেই শুরু হবে দেউচা-পাঁচমি কয়লাখনির কাজ : মমতা


সেই নিয়ে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। পাল্টা রাজভবন বিবৃতি দিয়ে জানায়, চিঠি অধ্যক্ষের কাছে পাঠানোর অনেক পরেই সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। রাজ্যপালের সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এবার পাল্টা জবাবি চিঠি দিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি রাজ্যপালের এই বক্তব্যকে 'অভূতপূর্ব' বলে মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি চিঠিতে অধ্যক্ষ এটাও উল্লেখ করেছেন যে, এসসি-এসটি কমিশন সংক্রান্ত বিল পেশের অনুমোদনে রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করায় তা নিয়ে বিধায়কদের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।