অর্ণবাংশু নিয়োগী: পিছিয়ে গেল এসএসসি বৈঠকের দিন। ভুয়ো নিয়োগ খুঁজতে ফের  বৈঠক ডেকেছিল এসএসসি। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই ডাকা হয় বৈঠক। এসএসসি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগ ও নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগ ভুয়ো শিক্ষকের প্রকৃত সংখ্যা কত? তা খুঁজতেই বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠক হবে এসএসসি দফতরেই। বুধবার বিকেল ৫টায় হবে বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। বৈঠকের পর ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে সিবিআইয়ের পেশ করা ফরেনসিক রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এসএসসি সার্ভারেই প্রাপ্ত নম্বর বদল করা হয়েছে অকৃতকার্য প্রার্থীদের। গ্রুপ সি-তে ৩,৪৮১ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। গ্রুপ ডি-তে ২,৮২৩ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এসএসসি সার্ভারে ৯০৭ জন প্রার্থীর নম্বর বদলানো হয়েছে। নবম-দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে ৯৫২ জনের নম্বর বদলানো হয়েছে। যাঁদের নম্বর এভাবে বদলানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ হয়তো ১ বা কেউ হয়তো ০ পেয়েছিলেন! এসএসসি সার্ভার রুম থেকে ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। সেই হার্ড ডিস্ক থেকেই দেখা গিয়েছে যে প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর হয়তো ছিল ১ বা ০! 


ফরেনসিক রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সমস্ত উত্তরপত্রের স্ক্যান কপি উদ্ধার হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রার্থী হয়তো আদতে ১ বা ০ পেয়েছেন। ফেল করেছেন! অথচ সার্ভারে ওই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর দেখা যাচ্ছে ৫০ বা ৭০। এমনকি ফাঁকা ওএমআর শিট পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়েছে! প্রার্থী কিছুই লেখেননি! যেখানে পরে ৫৩ নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, 'আমি শকড!' প্রতারণার মাধ্য়মে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের চরম হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি সাফ বলেন,'এই সমস্ত বেআইনি প্রার্থীরা তাঁদের চাকরি হারাবেন। যদি তাঁরা নিজে থেকে পদত্যাগ করেন তো ভালো, আদালত তাহলে কোনও পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু পদত্যাগ না করলে তাঁরা কেউ অন্য সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।' 


আরও পড়ুন, Primary Recruitment: প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করা যাবে না! স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের


পাশাপাশি, সিবিআই-কেও কড়া নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ দেন, 'যারা যারা শূন্য পেয়েছে, অথচ সার্ভারে পাস করেছে, তাদের নাম জানতে হবে সিবিআইকে।' যে পরিপ্রেক্ষিতে এসএসসি আদালতকে জানায়, 'সিবিআই যদি নামগুলো জানায়, তাহলে আমরা খতিয়ে দেখব, তাঁরা কোথাও কাজ করছেন কিনা!' এখন বুধবারের বৈঠকে ভুয়ো নিয়োগের মোট সংখ্যা কত বেরিয়ে আসে, সেদিকেই নজর সব মহলের।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)