মৌমিতা ভট্টাচার্য: পুজোর আগে কলকাতায় এসে তাঁকে নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদারের একটি পুজোর উদ্ধোধনে তাঁর যাওয়ার কথা কিন্তু সার্কিট হাউস দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তাঁকে থাকতে হচ্ছে মালদহে। শনিবার কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন মিঠুন চক্রবর্তী। মনে করিয়ে দিলে অন্তত ২১ জন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। শুধু তাই নয় রাজনীতির লড়াই নিয়ে মিঠুন বলেন, ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতি আমাকে ৯ বার নক আউট করেছে। তারপরেও ফিরে এসেছি। আমি এরকমই ফাইটার। দশ গোনা শেষ হওয়ার আগে উঠেছি। তারপর এমন একটা পাঞ্চ মেরেছি যে প্রতিপক্ষ আর ওঠেনি। লড়তে গেলে মার খেতে হবে, মারতে হবে।  শারীরিক দিকের থেকেও মানসিক দিকে যে বেশি শক্তিশালী তিনিই লড়াইয়ে জিতবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 'ঝুলু দি'-র বিদায়ী ম্যাচে লর্ডসে দাঁড়িয়ে কাঁদলেন হরমন, ভাইরাল ভিডিয়ো  


রাজ্যের মন্ত্রীর ঘর থেকে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। কী বলবেন? বাঙালি হিসেবে কি কোনও অপমান, লজ্জা বোধ হয়? মিঠুন চক্রবর্তী বলেন এর, এর থেকেও বেশি হতাশা হচ্ছে। একশো কোটি টাকা কামাতে গেলে আমাকে আসলে ২০০ কোটি টাকা আয় করতে হবে। তারপরে ট্যাক্স মিটিয়ে আমার কাছে একশো কোটি টাকা থাকবে। গত ৪৩ বছরের কেরিয়ায়ে একসঙ্গে ২০০ কোটি টাকা একসঙ্গে দেখিনি। ওরা কোন ট্যালেন্ট ওই বিপুল টাকা আয় করে বুঝতে পারি না। 


রাজ্যে পুজো সফরে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।  বালুরঘাটে তাঁকে সার্কিট হাউস দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কোনও হোটেলও মিলছে না। কলকাতার  কোনও পুজোর উদ্বোধনে কি বাধা দেওয়া হচ্ছে? মিঠুন বলেন, একেবারেই না। আগে পুজোর উদ্বোধন করতাম। এখনও স্টারডামটা থাকলেও গায়ের সেই জোরটা নেই। তা ছাড়া আমাকে কেউ বাধা দিচ্ছে না। বালুরঘাটে পুজোর উদ্ধোধনে সার্কিট হাউস না দেওয়া নিয়ে মিঠুনকে প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, সার্কিট হাউস দেওয়া হবে বলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়। শুধুমাত্র বিজেপির প্রতিনিধি বলে মিঠুনদাকে যারা ত্যাগ করবে তারা বাংলা, বাঙালির কালচারের প্রতি ন্যায়বিচার করবে না। মিঠুন চক্রবর্তী একটা আবেগ। মনে হয় তৃণমূল যারা করেন তাদের মধ্যেই ওই আবেগ রয়েছে।


একসময় তৃণমূলের বড়সড় ভাঙ্গনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বলেছিলেন, ৩৮ তৃণমূল বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এর মধ্য়ে ২১ জন সরাসরি আমার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছেন। এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মিঠুন বলেন কোনও ব্যাক সাপোর্ট না থাকলে এমন কথা আমি বলি না। আবার বলছি। আবার বলছি। আবার বলছি।  কর্মীরা অনেকেই বলছেন, পচা আলু নেওয়া ঠিক হবে না। আমি বলেছি, আমি নিশ্চয়ই আগের ভুল আর করব না। তবে সংখ্যাটা আজও কমেনি। বাকিটা বললে সবাই ধরে ফেলবে। ক্যামেরা প্যান করুন। অনেক কিছু দেখতে পাবেন।


রাজ্যে সিবিআই, ইডি-র ধরপাকড় নিয়ে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এসব মোদীজি করছেন বলে আমি বিশ্বাস করি না। তাহলে কি বঙ্গ বিজেপি এর পেছনে রয়েছে? মিঠুন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একদম ঠিকই বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী এসব করতে যাবেন কেন? যা করছে তা কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলো করছে। আর বঙ্গ বিজেপি করেছেটা কী? যদি আপনি ক্লিন হন তাহে কিছু হবে না। আর যদি আপনার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণ হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি আপনাকে বাঁচাতে পারবেন না।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)