পিয়ালি মিত্র: নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু ঘোষ। এবার শান্তনুর এক ঘনিষ্ঠ প্রমোটারের অফিসে হানা দিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বহু নথি উদ্ধার করল ইডি। ওইসব নথির মধ্যে রয়েছে কিছু অ্যাডমিট কার্ডও। একজন প্রমোটারের অফিসে কীভাবে এল ওইসব অ্যাডিমিট কার্ড, সেটই এখন খতিয়ে দেখছে ইডি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অটল পেনশন যোজনার টাকা ৫ হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে ১০ হাজার! সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল কেন্দ্র


তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিঙ্কম্যান বলে মনে করা হচ্ছে অয়ন শীল নামে সল্টলেকের ওই প্রমোটারকে। গতকাল বিকেল তিনটে নাগাদ সল্টলেকের এফডি ব্লকের অফিসে হানা দেয় ইডি। এখনও চলছে সেই তল্লাশি। ওইসব অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হওয়ায় এবার ইডি-র স্ক্যানারে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই লিঙ্কম্যান।


সল্টলেকের এফডি ব্লকের তিনতলা একটি বাড়ির নীচের তলায় প্রমোটার অয়ন শীলের অফিস। সেখানেই তল্লাশি চালায় ইডি। রাত এগারোটা নাগাদ আনা হয় অয়নকে। অফিস থেকে যেসব নথি পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বেশকিছু অ্যাডমিট কার্ড। ফলে প্রশ্ন উঠছে একজন প্রমোটারের বাড়িতে কীভাবে এল ওইসব অ্যাডমিট কার্ড? তাহলে কি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত অয়নও?


এর আগে কুন্তল ঘোষের বাড়ি ও অফিস থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত বহু নথি পাওয়া গিয়েছিল। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকেও তিনশোরও বেশি অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছিল।  এখন তদন্তকারীদের প্রশ্ন, লুকিয়ে রাখার জন্যই কি ওইসব অ্যাডমিট কার্ড অয়ন শীলের কাছে রাখা হয়েছিল? অয়নের অফিস থেকে পাওয়া নথি ও তার অফিসের কমপিউটারগুলিও তল্লাশি করে দেখবে ইডি।


কেন ইডির নজরে অয়ন শীল? ইডির দাবি, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। পেশায় প্রমোটার অয়ন অন্তত ৪০ জায়গায় প্রমোটিং করেছেন। সেই টাকা তিনি পেলেন কোথা থেকে? শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কালো টাকা অয়ন শীলের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছিল কিনা তা এবার খতিয়ে দেখবে ইডি। অয়ন শীলের একটা টলিউড যোগ রয়েছে। তিনি একটি ছবির প্রযোজনা করেছিলেন। সেই টাকা কোথা থেকে এসেছিল, তার সঙ্গে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও যোগ ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)