SSC Scam: শিক্ষক নিয়োগে অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই নেওয়া হয়নি! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন টেটের বহু পরীক্ষক
কুন্তল ঘোষ যেদিন গ্রেফতার হন সেদিন থেকেই বারবার দুটো নাম নিচ্ছিলেন তিনি। একটি হল তাপস মণ্ডল ও অন্যটি গোপাল দলপতি। তাপস গ্রেফতার হয়েছেন। গোপাল দলপতিকে একাধিকবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি
অর্নবাংশু নিয়োগী: টাকা নিয়ে নিয়োগের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই নেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এমনটাই সাক্ষ্য দিয়েছেন পরীক্ষকরা।
আরও পড়ুন-স্কুলে বেরিয়ে নিখোঁজ ১১ বছরের ছাত্রী, মিসড কলের সূত্র ধরে খুনের পর্দাফাঁস পুলিসের
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারের রুদ্ধদ্বার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সেখানে অধিকাংশ ইন্টারভিউয়ার দাবি করেন চাকরিপ্রার্থীদের কোনও অ্যাপ্টিটিউট টেস্টই নেওয়া হয়নি। অর্থাত্ নিয়মনীতির কোনও তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে। প্রকাশ্যে এল প্রশ্নত্তোরপর্বের প্রতিলিপি।
পরীক্ষকদের কী প্রশ্ন করা হয়েছিল তা প্রকাশ করেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী। কোনও কোনও পরীক্ষাকের দাবি, অ্যাপ্টিটিউফড টেস্ট যে নিতে হবে তা তাঁদের জানানোই হয়নি। কোনও কোনও পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেছিলেন তাদের কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। অনেকে অভিযোগ করেন খোলা জায়গায় তাদের ওই টেস্ট নেওয়া হয়। পড়িয়ে দেখানোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না। সেই অভিযোগ এবার সত্য হল।
এদিকে, গ্রুপ সি নিয়োগের সুপারিশ বাতিল নিয়ে মামলা উঠল আদালতে। গ্রুপ সি-তে ১০২৫টি ওএমআর-এ কারচুপি ধরা পড়ে। তার পরেই হাইকোর্টে নিয়োগ বাতিলের দাবি করে মামলা ওঠে। এনিয়ে আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে।
এদিকে, গতকাল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ জানিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির বহু টাকা রয়েছে আরমান গঙ্গোপাধ্য়ায় ওরফে গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি সবটা জানেন।
কুন্তল ঘোষ যেদিন গ্রেফতার হন সেদিন থেকেই বারবার দুটো নাম নিচ্ছিলেন তিনি। একটি হল তাপস মণ্ডল ও অন্যটি গোপাল দলপতি। তাপস গ্রেফতার হয়েছেন। গোপাল দলপতিকে একাধিকবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সিবিআইও তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল। এবার কুন্তল ঘোষের মুখে উঠে এল গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তীর নাম। আজ আদালত থেকে বের হওয়ার সময়ে তিনি জানান, নিয়োগ দুর্নীতির সব টাকা গোপাল দলপতি ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে গচ্ছিত রয়েছে। মুম্বইয়ের নরিম্য়ান পয়েন্টে ব্যবসা রয়েছে হৈমন্তীর। এখন নিয়োগ দুর্নীতির টাকা হৈমন্তীর ব্যবসায় খাটানো হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এনিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, নারী সব সময়েই রহস্যময়ী। কিছু মানুষ এরকম মনে করেন। এক কাকুর সন্ধান আমরা পেয়েছি। এবার এক কাকিমাকে পেলাম। কিন্তু মানুষ এই কাকু-কাকিমাদের খুঁজছেন না। মানুষ জেঠু-জেঠিমাদের খুঁজছেন। এটা একটা প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতি। উপর থেকে নীচে পর্যন্ত দলের অনুমোদন ছিল। এই ধরনের ৫ পার্সেন্ট, ৭ পার্সেন্ট এজেন্টদের ধরে কি কোনও লাভ আছে? মানুষের এতে উত্সাহ নেই। মানুষ তদন্ত শেষ হয়েছে কিনা সেটা দেখতে চায়। দ্রুত নিয়োগ শুরু হোক। অপরাধীরা শাস্তি পাক। এটাই মানুষ চায়।