Delhi Girl Murder: স্কুলে বেরিয়ে নিখোঁজ ১১ বছরের ছাত্রী, মিসড কলের সূত্র ধরে খুনের পর্দাফাঁস পুলিসের
পুলিসের জেরায় মেয়েটির মা জানান, কোনও এক অচেনা নম্বর থেকে সকাল ১১টা ৫০ নাগাদ তার মোবাইলে একটি মিসড কল এসেছিল। কিন্তু সেই নম্বরে ঘুরিয়ে ফোন করতে তার সুইচড অফ দেখায়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মিসড কল এলে কখনও কখনও আমাদের মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায়। কিন্তু এরকমই এক মিসড কল সমাধান করে দিল দিল্লির এক ১১ বছরের বালিকার খুনের রহস্যের। এমনই এক সাফল্য পেল দিল্লি পুলিস।
আরও পড়ুন-পুকুরপাড়ে ছাগল চিবিয়ে খাচ্ছে কুমির; ঘুম ছুটল পাড়ার লোকের...
গত ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লির নানগোলি এলাকায় ১১ বছরের এক বালিকাকে অপহরণ ও খুন করা হয়। ওই ঘটনায় বালিকার মায়ের ফোনে আসা একটি মিসড কলের সূত্র ধরে পুলিস পৌঁছে যায় রোহিত ওরফে বিনোদ নামে এক যুবকের কাছে। তাকেই ওই অপহরণ ও খুনের অপরাধে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিস।
ঘটনার দিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘরে থেকে স্কুলে জন্য বেরিয়ে যায় মেয়েটি। সাধারণভাবে তাকে স্কুলে ছাড়তে যায় তার ভাই। ঘটনার দিন সে গিয়েছিল বাসে। রাত এগারোটা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফেরায় শুরু হয়ে খোঁজখবর। কিন্তু কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিসে খবর দেন মেয়েটির বাবা-মা।
পুলিসের কাছে মেয়েটির বাবা-মা জানান, তাদের মেয়েকে সম্ভবত অপহরণ করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি অপহরণের মামলা শুরু করে পুলিস।
এদিকে, পুলিসের জেরায় মেয়েটির মা জানান, কোনও এক অচেনা নম্বর থেকে সকাল ১১টা ৫০ নাগাদ তার মোবাইলে একটি মিসড কল এসেছিল। কিন্তু সেই নম্বরে ঘুরিয়ে ফোন করতে তার সুইচড অফ দেখায়। মেয়ের মায়ের ওই কথা ধাক্কা লাগে পুলিসের। শুরু হয় সেই এজনা নম্বরের মালিকের খোঁজ। পঞ্জাব ও মধ্যপ্রদেশ পুলিসের সহায়তায় টানা ১২ দিন পর ওই নম্বরের খোঁজ পায় পুলিস। ধরা পড়ে যায় বিনোদ।
সন্দেহের বশেই বিনোদকে টানা জেরা শুরু করে পুলিস। সেখানেই উঠে আসে ৯ ফেব্রুয়ারি মেয়েটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাকে দিল্লির গেফরা মোড়় এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে খুন করে তার দেহ ফেলে দেয়। পুলিসকে জায়গাটি দেখানোর পর পুলিস গিয়ে মেয়েটির পচাগলা দেহ উদ্ধার করে।
দিল্লি পুলিসের বক্তব্য, মিসড কল না এলে হয়তো ওই খুনের কিনারা করা যেত না। কেন ওই মেয়েটিকে বিনোদ খুন করল তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। বিশ্বাসযোগ্য কিছু বলছেও না বিনোদ। এক্ষেত্রে মেয়েটিকে কোনও যৌন হেনস্থা করা হয়েছিল কিনা তা তদন্তেই বোঝা যাবে।