অর্নবাংশু নিয়োগী ও জ্যোতির্ময় কর্মকার: আপাতত স্বস্তি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের আদেশের উপরে স্থাগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের অপসারণের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। কলকাতা হাইকোর্টের ওই কড়া রায়কে আমল দিল না সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি প্রাথমিতে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই আদেশের উপরেও স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ওই আদেশের পর এবার কি মানিককে ফেরাবে সরকার? উঠছে প্রশ্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'অন্যায্য দাবি, নিয়োগ দেওয়া যায় না', অনশনরত টেট চাকরিপ্রার্থীদের সাফ বার্তা পর্ষদ সভাপতির


সুপ্রিম কোর্টের আজকের আদেশের পর শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় জোর ধাক্কা খেলেন আন্দোলনকারীরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান মানিক। সেখানেও ওই রায়কে বহাল রাখা হয়। এরপরই এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন মানিক ভট্টাচার্য। বর্তমানে ইডি হেফজাতে থাকলেও তাঁর পদ থেকে তাঁকে অপসারনের আদেশের উপরে স্থগিতাদেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত।


কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে তাঁর অপসারণের বিরুদ্ধে আবেদন করেন মানিক। তাঁর আইনজীবীরা সেইসময় সওয়াল করেন, মানিক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আদালতের নেই। মানিক ভট্টাচার্যের কথা শুনতে হবে। বেঞ্চে সেই সওয়াল গ্রাহ্য হয়নি। ফলে সুপ্রিম কোর্টে এবার মানিক ভটাচার্য বলবেন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চের রায় কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল। পাশাপাশি, মামলাকারীরা এবার সওয়াল করবেন মানিক ভট্টাচার্য পর্ষদ সভাপতি থাকাকালীন কতগুলো বেআইনি নিয়োগ হয়েছে।


সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, এটি অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। আর্থাত্ আরও শুনানি হবে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। তদন্তকারীরা কী বক্তব্য পেশ করবেন তা শোনা হবে। চূড়ান্ত রায় নাম আসা পর্যন্ত এনিয়ে বেশি কিছু বলা উচিত নয়।


শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কি কিছুটা ধাক্কা খেল আন্দোলনকারীরা? এনিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আসলে আদেশটা পুরোপুরি না পড়ার ফলেই সমস্যা হচ্ছে।  মানিক ভট্টাচার্যের অপারণের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এনিয়ে কিছু শর্ত রয়েছে। বলা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে সভাপতি করা যাবে না। তাই বলা যেতে পারে মানিক ভট্টাচার্যের কোনও সুরাহা হল না। আদেশের আইনগত দিকটা সুপ্রিম কোর্ট পরে বিচার করবেন। সিবিআই তদন্ত চলবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)