অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও একবার ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। এনিয়ে পাঁচ বার বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীরা। তার প্রতিফলিত হয়েছে লোকসভার পোস্টাল ব্যালটের গণনায়। পোস্টাল ব্যালটে একচ্ছত্র দাপট দেখিয়েছে বিজেপি। সে কথা স্মরণ করিয়ে বিজেপি সমর্থিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল বলেন, ''লোকসভা ভোট থেকে কোনও শিক্ষাই নিল না রাজ্য সরকার। ৪ বছর সময় নিয়েও সুপারিশ পেশ করতে পারল না ষষ্ঠ বেতন কমিশন''। 


দেবাশিসবাবুর কথায়,''পোষ্টাল ব্যালটে প্রতিফলিত সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভের আগুন থেকে সরকার কোনও শিক্ষাই নিল না। পে কমিশনের মেয়াদ ৪ বছর করে দেওয়া হল। যা ভূ-ভারতে নজিরবিহীন। রাজ্য সরকারকে ধিক্কার জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না''। এনিয়ে তাঁরা আন্দোলনে নামতে চলেছেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক। তাঁর দাবি, বিজেপিকে দুহাত তুলে সমর্থন করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। বহু সরকারি কর্মচারী পরিষদের ছাতার তলায় আসছেন। পরিষদকে এবার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। অবিলম্বে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।   



বলে রাখি, বিজেপি সরকার আসলে রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অমিত শাহ। একইসঙ্গে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের মাইনে বাড়ানোর কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। 


গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে গঠিত হয়েছিল ষষ্ঠ বেতন কমিশন। কমিশনকে ৬ মাসের মেয়াদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বারবার মেয়াদ বাড়ানো হলেও বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব জমা দিতে পারেনি কমিশন। ইতিমধ্যেই চার দফা বেড়ে গিয়েছে মেয়াদ। সোমবার আরও এক দফা মেয়াদ বাড়ালো কমিশন। ইতিমধ্যে মহার্ঘ ভাতাও রয়েছে বকেয়া। সেনিয়েও চলছে টানাপোড়েন। আর ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ার অর্থ হল ৪ বছর ১ মাস সময়সীমা। যা কার্যত সারা ভারতে বিরল বলে মনে করছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।  


আরও পড়ুন- একে মুকুলে রক্ষে নেই, শুভ্রাংশু দোসর, মঙ্গলবার তৃণমূলের হাতছাড়া হচ্ছে ২ পুরসভা?