মূলধন আমজনতার হয়রানি, অবাধে চলছে আধার কারবার
সিনিয়র সিটিজেন থেকে শুরু করে রেলের টিকিট বুকিং। এমনকি মিড-ডে মিল। হঠাত্ হঠাত্ কেন্দ্রের এমন ঘোষণায় সমস্যায় নাগরিকরা। কারণ অনেকের কাছেই নেই আধার। আবার সরকারি স্তরে আধার কার্ড করিয়ে দেওয়ার মত পর্যাপ্ত পরিকাঠামোও তৈরি হয়নি। আমজনতার হয়রানিকে মূলধন করেই ব্যবসায় নেমে পড়েছেন আধার কারিবারিরা।
ওয়েব ডেস্ক : সিনিয়র সিটিজেন থেকে শুরু করে রেলের টিকিট বুকিং। এমনকি মিড-ডে মিল। হঠাত্ হঠাত্ কেন্দ্রের এমন ঘোষণায় সমস্যায় নাগরিকরা। কারণ অনেকের কাছেই নেই আধার। আবার সরকারি স্তরে আধার কার্ড করিয়ে দেওয়ার মত পর্যাপ্ত পরিকাঠামোও তৈরি হয়নি। আমজনতার হয়রানিকে মূলধন করেই ব্যবসায় নেমে পড়েছেন আধার কারিবারিরা।
কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী বহুক্ষেত্রেই আধার এখন বাধ্যতামূলক। স্থানীয় পুরসভার ক্যাম্প থেকে আধার কার্ড মিললেও তাতেও রয়েছে বিস্তর ঝামেলা। ফর্ম ফিলাপ থেকে বায়োমেট্রিক টেস্ট। তারপরেও কবে হাতে আসবে আধার কার্ড, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। আমজনতার এই হয়রানির সুযোগকে কাজে লাগিয়েই অনেকেই খুলে ফেলেছেন আধার ব্যবসা। চটজলদি হাতে তুলে দিচ্ছেন আধার কার্ড।
স্টিং অপারেশন
ঘরে ঢুকলেই চোখে পড়বে আধারের বিকিকিনি। জানেন কত দর হাঁকাচ্ছে আধার কারবারি? ক্যামেরার সামনে আসতেই অবশ্য ভোল বদল কারবারির। বললেন খুশি হয়ে যে যা দেয়, তাই নেন হাত পেতে। কোনও অফিস আবার বেশ ঝাঁ চকচকে অফিস। সেখানে আবার আধার রেটটা একটু বেশি। কেউ যদি টাকা না দেন। তারজন্যেও রয়েছে ব্যবস্থা। কী সেই ব্যবস্থা? একেবারে ঠান্ডা মাথায় হুমকি। কোনওভাবেই কার্ড আর হাতে পাবেন না। এরপর টাকা না দিয়ে কে আর কার্ড করানোর রিস্ক নেবে!
ব্যবসা চলছে ভালোই। আমজনতার হয়রানিই এখন এই ব্যবসার মূলধন। সরকারের তরফে কার্ড পিছু ১২ টাকা করে পান এই ব্যবসায়ীরা। তারপরেও আবার এক্সট্রা চার্জ। আপনার দেওয়া টাকা পুরোটাই লাভের খাতায় ঢুকছে কারবারির পকেটে। যাকে বলে সুযোগ বুঝে কোপ মারা।