নিজস্ব প্রতিবেদন: ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল যাদবপুর। এগজিকিউটিভ কাউন্সিলিং-এর বৈঠক সেরে বেরোনোর সময় ছাত্রদের ক্ষোভের মুখে পড়েন উপাচার্য-সহ অন্যান্যরা। অভিযোগ, উপাচার্য এবং সহউপযার্যকে ধাক্কা দেন ছাত্ররা। ধাক্কাধাক্কিতে ডান হাতে গুরুতর চোট পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য। তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ধস্তাধস্তির পেছনে রয়েছে তৃণমূল ছাত্র সংগঠন। তাঁদের ধাক্কায় আহত হয়েছেন বিক্ষোভকারীরাও। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ১০জন ছাত্রছাত্রী।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন নিয়ে একটি এগজিকিউটিভ কাউন্সিলিং-এর বৈঠক ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউনিয়ন নয়, কাউন্সিলের দাবিতে বৈঠক চলাকালীন বাইরে অবস্থান শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। ঘেরাও হয় উপাচার্য, সহ উপাচার্য, রেজিস্টার-সহ অন্যান্যরা। বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ছাত্রছাত্রীদের জানানো হয় যে, রাজ্যের তরফে ইউনিয়ন সংক্রান্ত কোনও উত্তর আসেনি। উপরমহলের নির্দেশিকা ছাড়া নিয়ম বদল সম্ভব নয়, এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অবস্থানকারীরা। 


হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ফোনে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান,''স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ইলেকশনেকর জন্য ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত চলে বৈঠক। বেরনোর সময় আমার এবং আমার সহকর্মীদের ওপর চড়াও হয় ওরা। খারাপ ভাষা ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যেই আমার গায়ে হাত পড়ে। পায়ে আঘাত পেয়েছেন সহউপাচার্য। কোনও পরিস্থিতিতেই আমি ক্যাম্পাসে পুলিস ডাকিনি। তবে কখনও ভাবিনি এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটতে পারে।"


ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। উপাচার্যকে ধাক্কা মারা হয়েছে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিবারই নির্বাচনের সময় এমন ঝামেলা করেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের কোনও বক্তব্য থাকলে গণতান্ত্রিকভাবে জানানো যেতে পারে"। এর পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী কড়া নির্দেশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তঁদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। 


আরও পড়ুন- দান পেতে সৌদির যুবরাজের গাড়ির চালক পাক প্রধানমন্ত্রী, মস্করা নেটিজেনদের


এই ধরনের পরিস্থিতিকে কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। যাদবপুরে একাধিকবার ছাত্র আন্দোলন হলেও উপাচার্যর গায়ে হাত দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম। যার তীব্র নিন্দা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী-সহ অন্যান্যরা। পাশাপাশি ছাত্রদের তরফে জানানো হয়েছে তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।