ওয়েব ডেস্ক: নোট বাতিলের ধাক্কা রান্নাঘরে। কার্যত ক্রেতাশূন্য মাটনের দোকান। বাঙালির সাধের মাটন উঠল না বাঙালির পাতে। মাটনছাড়া রোববার। আমিষহীন রোববার।বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মতোই মাটনময় রোববার। শনিবার রাত থেকেই পাঞ্জা কষে তৈরি হয় আমবাঙালি। কখন আসবে রোববারের ভোর। বাজারের থলেতে মাটন ভরে শুধু গিন্নির হাতে দেওয়ার অপেক্ষা। তারপর তো আয়েশ। কবজি ডুবিয়ে, চেটেপুটে মাটনভক্ষণ। ৮ নভেম্বর রাত ৮টা বদলে দিয়েছে বাঙালির রোববারের রোজনামচা। হাতে আছে টাকা। কিন্তু পাতে নেই মাটন। দোকানে গিয়েও ফিরতে হচ্ছে বাড়ির কর্তাকে। ক্রেতারা দিচ্ছেন ৫০০, হাজারের নোট। নিচ্ছেন না মাংসবিক্রেতারা। খুচরোর আকাল বাজারজুড়ে। গত রোববারও যেখানে কলকাতার একটা দোকানে মাংস বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার, সেখানে একলাফে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। বাজারে বাজারে একই ছবি। মাছি তাড়াচ্ছেন মাংস বিক্রেতারা। তাঁদের মাথায় হাত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন অপেক্ষার শেষ বাজারে চলে এল পাঁচশ টাকার নতুন নোট


প্রতি রোববার মাংসের দোকানে দীর্ঘ লাইন দেখে অভ্যস্ত শহর থেকে গ্রাম। কিন্তু একটা সিদ্ধান্তেই বদলে গেছে ছবিটা। একটা রোববার না হয় মাংস ছাড়াই পাত পড়ুক বাঙালির। মাছ তো আছে। নাহ্, মাছবাজারের ছবিটাও তো একই। অর্থাত্‍ আমিষহীন রোববার। ভাবতেই পারছে না আমবাঙালি। কিন্তু উপায় নেই। রোববারের লাইন এখন মাংসের দোকানের সামনে নয়, ব্যাঙ্ক, এটিএমের সামনে।


আরও পড়ুন  নোট বাতিলে দেশজুড়ে সঙ্কটের মাঝে এরাজ্যেই উদ্ধার হল দু কোটি টাকা!