নিজস্ব প্রতিবেদন: দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হওয়ার আশঙ্কায় মুকুল রায়কে অসুস্থ সাজিয়ে রাখতে চাইছে তৃণমূল। দাবি শুভেন্দুর অধিকারীর। দিলীপ ঘোষের আক্ষেপ, 'আমি ভরসা করেছিলাম। মুকুল রায়ের মতো নেতাকে আমরাই প্রথম জয়ের স্বাদ দিয়েছিলাম। কোথাও আমি ভুল প্রমাণিত হলাম'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলার নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। দু'দফায় ইতিমধ্য়েই শুনানি হয়েছেন বিধায়ক। যেদিন শুনানি ছিল, সেদিন গরহাজির ছিলেন কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক। স্পিকার চিঠি দিয়ে মুকুল জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। সেকারণে আরও একমাস সময় দেওয়া হোক। সেই আবেদন মঞ্জুরও করেছেন স্পিকার। ১৫ সেপ্টেম্বর ফের শুনানি হবে। শুধু তাই নয়, অগাস্টে কৃষ্ণনগর গিয়ে মুকুল রায় বলেছিলেন,  'কৃষ্ণনগরে উপনির্বাচন হলে তৃণমূল পর্যূদস্ত হবে। বিজেপি স্বমহিমায় ফিরে আসবে'। ফলে তাঁর 'অসুস্থতা' নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। যদিও এদিন শুভেন্দু দাবি করলেন, গোটাটা সাজানো।


আরও পড়ুন: Bypoll: পুজোর আগেই উপনির্বাচন! রাজ্যকে তৈরি থাকতে নির্দেশ কমিশনের


স্রেফ মুকুল রায় একা নন, মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দিয়েছেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ। গতকাল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কাকলি ঘোষদস্তিদারের উপস্থিতিতে দলের পতাকা হাতে তুলে নেন বিশ্বজিৎ। বলেন, 'একটা পরিস্থিতিতে ভুল করেছিলাম। যা হওয়ার ছিল না। বাংলার ঘরে ঘরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নেই। বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই। বহিরাগত নেতৃত্বে উপর মানুষ আকৃষ্ট হন না'। সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত থেকে শাসকদলের পতাকা নিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ।


আরও পড়ুন: Narada Scam: ৪ হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট ED-র; Suvendu কেন বাদ? প্রশ্ন Kunal-র


বিধানসভায় কীভাবে এই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর যায়? এদিন বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেসকে 'প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি' বলে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, '২১৩ সিট জেতার পরেও তাদের আরও বিধায়কের প্রয়োজন। সেকারণেই গত ২ দিন ধরে দলের সঙ্গে সম্পর্কহীন ২ বিধায়কে যোগদান করিয়েছে এবং দলত্যাগ বিরোধী আইনকে বুড়়ো আঙুল দেখিয়েছে। রাজ্যসভা ও লোকসভায় সব দলের সমর্থনে আইন পাস হয়েছে। সেই আইনকে অপমানিত করা হয়েছে প্রকাশ্যে'। দিলীপ ঘোষ বলেন, 'দলবদল কোনও নতুন ব্যাপার নয়। যদি এক ডজন এমএলএ, এমপি টিএমসি থেকে আমাদের দলে এসে থাকে, তাহলে টিএমসি পার্টি আছে। এক-দু'একজন বিধায়ক যদি চলে যান, তাহলে বিজেপির খুব একটা কিছু ক্ষতি হবে না। সবার সহ্য ক্ষমতা সমান নয়, চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ক্ষমতা সমান নয়। কেউ কেউ আত্মসমপর্ণ করতে বাধ্য হচ্ছেন'।  


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)