KMC Election 2021: `দম থাকলে ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচন করুন`, কমিশনকে চ্যালেঞ্জ Suvendu-র
``একদিন তৃণমূলও শূন্য হবে`, হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankhar) নালিশের পর এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে পুরভোটে (KMC Election 2021) রিগিং-র অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে বললেন, 'আমরা কমিশনকে বলেছি, যদি দম থাকে তাহলে ভোট বাতিল করে পুর্ননির্বাচন করুন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ধুলো মিশিয়ে দিয়েছেন'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'পিসি-ভাইপো এ জিনিস চালাতে পারেন না, চলবে না। বিধানসভায় সিপিএম যেমন শূন্য হয়েছে, কংগ্রেস যেমন শূন্য হয়েছে। একদিন তৃণমূলও শূন্য হবে'।
কলকাতায় পুরভোটে ঘটনার ঘটঘটা। বোমাবাজি-ছাপ্পাভোটের একাধিক অভিযোগ বিরোধীদের। বিকেলে সল্টলেকের বাড়িতে বিজেপির ২০ বিধায়ককে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু। তখন বাড়ি বাইরে বিশাল পুলিসবাহিনী নিয়ে হাজির হন বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (হেড কোয়ার্টার্স)। বিরোধী দলনেতার বাড়ি ঘিরে ফেলেন পুলিসকর্মীরা। এমনকী, বিধায়কদের বাড়ি থেকে বেরোতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পুলিসকর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতাদের। শেষপর্যন্ত প্রায় ঘণ্টা তিনেক পর ওঠে পুলিসি ঘেরাটোপ।
আরও পড়ুন: KMC Election 2021: '২০ শতাংশ ভোট হয়েছে, বাকিটা রিগিং', ধনখড়ের কাছে পুরভোট বাতিলের দাবি Suvendu-র
সন্ধ্যায় পুরভোট নিয়ে নালিশ রাজভবনে যান শুভেন্দু। সঙ্গে বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, 'কলকাতার ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। ২০ শতাংশ ভোট হয়েছে, বাকিটা রিগিং'। রাজ্য়পালের কাছে পুরভোট বাতিলের দাবি জানান তিনি। এরপর সোজা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে। বিজেপি নেতাদের আসার খবর পেয়েই কমিশনের দফতরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। দফতরে ঢোকার সময়ে বাধা পেয়ে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, 'এখানে জয়শংকর নামে একটা থার্ড গ্রেডেড অফিসার আছে। মমতার বন্দ্যোপাধ্যায় চাকর, পুলিস ওয়েলফেয়ার বোর্ডের উচ্ছিষ্ট খাওয়া অফিসার, আমার গায়ে হাত দিয়েছে। স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে কোন বিরোধী দলনেতার গায়ে হাত পড়েনি। বাংলার মানুষ দেখছে'। তাঁর কথায়, 'উত্তর কোরিয়ার কিমের আর একট প্রতিরূপ কলকাতা ও ভারতের মানুষের দেখল। তার নাম হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে দলদাস কলকাতা পুলিসকে ব্যবহার করে ভোট লুট করতে হয়, কীভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে হয়, এই কম্পার্মেন্টাল চিফ মিনিস্টার দেখিয়ে দিলেন। আমার কাছে নন্দীগ্রামে হেরেছেন। আমি একবার লড়েছি, বিরোধী দলনেতা হয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য ওঁকে দু'বার লড়তে হয়েছে। তাই আগে নন-এমএলএ বলতাম, এখন বলি কম্পার্মেন্টাল চিফ মিনিস্টার'।
নির্বাচন কমিশনকে কী অভিযোগ জানালেন? শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচন কমিশনকে আমরা বলেছি, রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনকে যেমন নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, একইভাবে এই নির্বাচন কমিশনের অফিসটাও নিষ্ক্রিয় হয়ে গেল। এখানে আর কেউ আসবে না'। নির্বাচন কমিশনারের কাছে দাবি, '২৫ শতাংশ সিসিটিভি লাগাতে চেয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ৬ হাজার বুথে সিসিটিভি লাগাতে হয়েছে। কিছু করতে হবে না, শুধু কেন্দ্রীয় কোনও ল্যাবে সিসিটিভি ক্যামেরা ফরেন্সিক অডিট করুন'। পুরভোটে পুলিসের বিরুদ্ধে অতিসক্রয়তার অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।