নিজস্ব প্রতিবেদন: নন্দীগ্রামে কি মমতা বনাম শুভেন্দুর লড়াই? আর প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়েছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শিশিরপুত্র। তবে সোমবার তেখালির সভায় মমতা নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা পরই 'মতবদল' শুভেন্দুর। তৃণমূল নেত্রীকে তাঁর সরাসরি চ্যালেঞ্জ,'নন্দীগ্রামে হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।'            


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নন্দীগ্রামকে নিজের 'লাকি জায়গা' বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই 'লাকি জায়গা'তেই প্রার্থী হতে চান তিনি। সে কথা ঘোষণাও করেছেন। মমতা (Mamata Banerjee) বলেছেন, 'আমিই যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়! একটু ইচ্ছে হল। একটু গ্রামীণ জায়গা। আমার মনের জায়গা।' মমতার এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা বাদেই দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর গড়ে দাঁড়িয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ দিন টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারী রোড শোয়ের পর সভায় তিনি বলেন,'নন্দীগ্রামে আপনি দাঁড়াতেই পারেন। এটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। যে কোনও মিটিংয়ে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করতে পারেন। বিজেপি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল, কে কোথায় দাঁড়াবেন সভা থেকে বলা যায় না। এটাই তফাৎ। আপনি দাঁড়ান। পদ্মফুলটা আমাকে দিন বা আর যাঁকে দিন হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।'             


নন্দীগ্রামের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগের কথা স্মরণ করিয়েছেন মমতা। ঠিক সেই জায়গাতেই আঘাত হানলেন শুভেন্দু। বলেন, 'মেদিনীপুরে গিয়ে বড় বড় কথা বলে এসেছেন। দিলীপ ঘোষ জঙ্গলমহলের লাল মাটির লোক। আর আমি দিঘার কাছাকাছি একজন বালুমাটির লোক। দু'জনে হাত মিলিয়েছি। ৫ বছর অন্তর অন্তর যান। ৫ বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে। কী করেছেন মানুষের জন্যে? অষ্টম শ্রেণির বইটা দেখবেন। সিঙ্গুরের ইতিহাস আছে। গণহত্যার মতো ঘটনা নিয়ে একটা শব্দও নেই। ৩০ হাজার লোককে জড়ো করেছিল। হায়দরাবাদের পার্টিটার মতো সভা ছিল। পুলিস অফিসার অরুণ গুপ্তাকে ৭ বছরে ৪টে এক্সটেনশন দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোকুলনগরে গুলি চালিয়েছিলেন সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লোককে মহাসচিব তৃণমূল কোম্পানির ভবনে জয়েন করিয়েছেন। আপনাকে নন্দীগ্রামের মানুষ ক্ষমা করবে না।'    


আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম 'ঘোষণা', BJP-র বৈঠকে তিরস্কারের মুখে Soumitra Khan