নিজস্ব প্রতিবেদন : দলের শৃঙ্খলা ভেঙেছেন সব্যসাচী দত্ত। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়েছে। এই বিষয়ে বিধাননগর পুরনিগমের কাউন্সিলরদের মত কী? তা জানতে আজ তৃণমূল ভবনে বিধাননগরের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকের পরই বিধাননগর পুরনিগমের মেয়রের দায়িত্বে আপাতত বহাল করা হল তাপস চট্টোপাধ্যায়কে। তাপস চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে বিধাননগর পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদদের বৈঠকের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। যতদিন অবধি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হচ্ছে, ততদিন সব্যসাচীর বদলে এই কো-অর্ডিনেশন তাপস চট্টোপাধ্যায় করবেন। আগামিকাল বিকেল ৪টেয় বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদের বৈঠক ডেকেছে তৃণমূল। তবে, নিয়ম অনুযায়ী মেয়র পারিষদ বৈঠক ডাকার আগে ৭ দিনের নোটিস দিতে হয়। মেয়র কমিশনারকে সেই নোটিসে সই করতে হয়। ফলে একদিনের নোটিসে এই বৈঠক ডাকতে পারেন না ডেপুটি মেয়র। সেক্ষেত্রে কাল এই বৈঠক কীভাবে ডাকা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।


বিধাননগর পুরনিগমে তৃণমূলের মোট কাউন্সিলর সংখ্যা ৩৯। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ডাকা আজকের বৈঠকে সব্য়সাচী দত্ত ডাক পাননি। ফলে সব্যসাচীকে ছাড়া ৩৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যে ২ জন কাউন্সিলর আজকের বৈঠকে যোগ দেননি। অর্থাত্ মোট ৩৬ জন কাউন্সিলর এই বৈঠকে যোগ দেন।  সূত্রে খবর, বৈঠকে আসা ৩৬ জন কাউন্সিলরই জানিয়েছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই আস্থা রয়েছে। তাঁরা সবাই তৃণমূলে আছেন। নতুন মেয়র যাঁকে করা হবে, তাঁকে মেনে নেওয়া হবে।


সূত্রের খবর, ৩৬ জন কাউন্সিলরই সব্যসাচী দত্তের বিপক্ষে লিখিত বয়ানে সই করেছেন। সেই বয়ানে ছিল, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে সবাই সহমত হবেন। সবাই দলনেত্রীর সাথে।" প্রসঙ্গত, আগাম নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ১০ তারিখে পুরবোর্ডের মিটিং রয়েছে। সেই মিটিংয়েই সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা বলে মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন, 'কেউ বিশৃঙ্খলা করলে,দল ব্যবস্থা নেবে', সব্যসাচীকে নিয়ে কমিটিতে রিপোর্ট ফিরহাদের