মোদীকে তাড়াতে হবে, পাশে থাকার বার্তা নিয়ে মমতার পাশে তেজস্বী, কানিমোজি
“ ভয় পেয়ে নীতিশ জী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে সব দলকে এক জোট হয়ে লড়তে হবে।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘পাশে আছি’। ধর্মতলা মেট্রো চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা মঞ্চে উপস্থিত থেকে বার্তা দিলেন আরজেডি-র তেজস্বী যাদব। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডিএমকে-র কানিমোজিও।
মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে তেজস্বী জোর গলায় বললেন, “ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওরা ভেবেছে ভয় দেখালে ওঁকে থামানো যাবে। বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে হবে। ” তিনি আরও বলেন, “আমার পরিবারের সবার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। দেশকে বাঁচাতে হলে মোদীকে ভাগাতে হবে।” ফের মোদী- বিরোধী জোট মজবুত করার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পূর্ণ সমর্থন করছি। সবাই একজোট হয়ে দেশ বাঁচাও। ১৯এর ব্রিগেডের পর মোদী বুঝে গিয়েছেন, একটিও সিট পাবেন না। তাই সিবিআই ভয় দেখাচ্ছেন।”
আরও পড়ুন: রাজীবের বাড়িতে কেন সিবিআই? সুপ্রিম কোর্টের পর কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত হাইকোর্টেও
লালুপুত্রের কটাক্ষ, “ ভয় পেয়ে নীতিশ জী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে সব দলকে এক জোট হয়ে লড়তে হবে।”
গণতন্ত্র বাঁচাওয়ের ডাক দিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন ডিএমকে-এর কানিমোজিও। তিনি বলেন, “বিজেপির ফ্যাসিবাদী সরকার দেশকে ভাগ করতে চায়। যে কোনও মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তাকে রোখার প্রয়োজন রয়েছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দেশ বাঁচাও’ আন্দোলনে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন স্ট্যালিনও। তাঁকে ফোন করে সমর্থন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সওয়া ১১টায় নিভিয়ে দেওয়া হল আলো, মঞ্চে ‘স্ট্রিট ফাইটার' কীভাবে কাটালেন রাত?
এমনকি বিরোধী জোটের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেও আজ সিবিআই প্রশ্নে সরব হয়েছে নবীন পট্টনায়কের দলও। সোমবার সংসদও সিবিআই ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে। সিবিআইকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদীতভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এদিকে, যেভাবে কেন্দ্রের ‘চাল’ রুখতে রাস্তায় নেমে আগুনে বিপ্লবে সামিল হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যেভাবে তাঁর এই আন্দোলনে বিরোধীদের পাশে পাচ্ছেন, তাতে বিজেপি কিছুটা ব্যাকফুটে যেতে পারে বলেও মনে করছে অভিজ্ঞমহল।