ধরনায় অটল মমতা, মঞ্চে ‘স্ট্রিট ফাইটার' কীভাবে কাটালেন রাত?
রবিবার রাত ৮.৪০ মিনিট থেকে টানা মঞ্চে তিনি। মঞ্চে একটানা ২৭ দিন ধরনা থাকায় রেকর্ড রয়েছে তাঁর। কিন্তু এবার হয়তো সেই রেকর্ড ভাঙবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার রাত ৮.৪০ মিনিট থেকে টানা মঞ্চে তিনি। মঞ্চে একটানা ২৭ দিন ধরনা থাকায় রেকর্ড রয়েছে তাঁর। কিন্তু এবার হয়তো সেই রেকর্ড ভাঙবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নিজেই বলেছেন, পরীক্ষার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধরনা মঞ্চে থাকবেন তিনি। বিজেপির সঙ্গে তাঁর সঙ্ঘাত বাড়ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এবার সম্মুখ সমরে। রাস্তায় নেমে ফের লড়াইয়ে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে মেট্রো চ্যানেলে যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। শুধু ফারাক একটা বিষয়েই। সেদিন তিনি ছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিরোধী নেত্রী, আজ মুখ্যমন্ত্রী। যোশ যেন হার মানেনি সময় কিংবা তাঁর বয়সের কাছে। বার্ধক্যে ফের যেন জেগে উঠে সেই ‘স্ট্রিট ফাইটার’।
আরও পড়ুন: রাজীবের বাড়িতে কেন সিবিআই? সুপ্রিম কোর্টের পর কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত হাইকোর্টেও
একনজরে দেখুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা মঞ্চের দ্বিতীয় দিনের রাত ...
ঘড়ির কাঁটায় রাত ১১টা ১৫
মঞ্চের আলো নিভিয়ে ফেলা হল। মঞ্চের বাইরে ও রাস্তায় থাকা ল্যাম্পোস্টেরও আলো নিভিয়ে ফেলা হল। মঞ্চের সামনে তখন অনুগামী, কর্মী সমর্থক, সাংবাদিকদের ভিড়। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ কয়েকজন মঞ্চে থেকে নেমে এলেন। তিনি আবেদন করেন, “ভাই তোমরা একটু আস্তে কথা বলো। বুঝতেই তো পারছো, রবিবার রাত থেকে এক টানা...মুখ্যমন্ত্রী একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন।”
ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা
কেসি দাস থেকে - ওয়াই চ্যানেলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হল পুলিশের তরফে।
সব গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য রুটে।
পাশাপাশি, পুলিশের তরফে সবাইকেই আসতে কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হয়।
তৃণমূল সমর্থকদেরও স্লোগান দিতে বারণ করা হয়।
প্রায় মধ্যরাত থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা মঞ্চের সামনে এসে জড়ো হতে শুরু করেন। ভোররাতের সামনেই ভরে যায় ধরনা মঞ্চ চত্বর।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সকাল ৭.৫৩ পর্যন্ত মঞ্চের পর্দা সরানো হয়নি।