নিজস্ব প্রতিবেদন: ময়দানের পরিবেশ রক্ষায় ২ সদস্যের কমিটি গঠন করল হাইকোর্ট। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ও অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সমন্বয় করে পরিবেশ রক্ষায় নতুন পরিকল্পনা করতে হবে বলেই নির্দেশ। শীতকালীন ছুটির ২ সপ্তাহ পর ফের শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতার প্রাণ, গড়ের মাঠের সবুজ ধ্বংস, আবর্জনার স্তূপ নিয়ে ক্ষুব্ধ বিচারপতি হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেন। জানা গিয়েছে, নিজের কাজে বেড়িয়ে ফিরে আসছিলেন হাইকোর্টে। হঠাৎ স্তুপাকার কাগজ, যত্রতত্র নোংরা দেখে রীতিমতো বিরক্ত হন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সবচেয়ে অবাক হন রেড রোডের পাশে জঞ্জাল দেখে। 


আরও পড়ুন: ময়দানকে 'নিট অ্যান্ড ক্লিন' দেখতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট, তৈরি ২ সদস্যের বিশেষ কমিটি


বিরক্ত হয়ে সোমবার বিচারপতি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল  ও এডভোকেট জেনারেলকে জানিয়ে দেন ময়দানে জঞ্জাল কেন সে বিষয়ে সুয়ো মোটো মামলা করছে হাইকোর্ট। শুধু জঞ্জাল ফেলাই নয়, মাঠের মধ্যে যেভাবে বেআইনি পার্কিং করা হয়, রাস্তাজুড়ে যে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে তা নিয়েও বেজায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। 


বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে সেনা, রাজ্যসহ সব পক্ষকে ২৪ ডিসেম্বর শুনানিতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এ দিন বিচারপতি, হসপিটাল রোড, কুইন্স রোড, ডাফরিন রোড, ক্যাথিড্রাল রোড, মেয়ো রোড, খিদিরপুর রোডের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই সব রাস্তার দু-ধারে বেয়াইনি পার্কিং চলছে।  সুপ্রিমকোর্টের বিশেষ নির্দেশ থাকার পরেও কীভাবে ময়দানে পার্কিং হচ্ছে বলে প্রশ্ন করা হয়? 


আরও পড়ুন:  শতবর্ষ উদযাপন আমন্ত্রণ বিতর্ক: অনুপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী, TMC-র দাবি খারিজ Visva Bharati-র


এ দিন ময়দানে গিয়ে দেখা যায় শীতের আমেজ উপভোগ করতে প্রচুর মানুষ ময়দানে ভীড় করেছেন। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্লাস্টিক, কাগজের ঠোঙা, চায়ের কাপ ইত্যাদি। ময়দানের পাশে সার দিয়ে থাকা কালো বাইকের সংখ্যা দেখলে মনে হবে ময়দানে বুঝি মেলা বসেছে। তবে এবার হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই তৎপর প্রশাসন। রেড রোড, ডাফ্রিন রোডে বসল নতুন পোস্ট। এক হাত দূরত্বে নো পার্কিং পোস্টার। লেখা হল, হাইকোর্টের নির্দেশের কথা। গাড়ি পার্কিং হলেই ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিস।