নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘক্ষণ পড়ে ছিল অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই দেহ। কার তা জানা যায়নি। তবে পড়ে জানতে পারা যায়, এসএসকেএম মর্গে পড়ে থাকা ঝলসানো দেহটি সুদীপ দাসেরই। তিনি পূর্ব রেলের সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকম কর্মী। হাওড়ার রামরাজাতলায় বাড়ি। গতকাল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকালই স্ট্র্যান্ড রোডের অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৯টি দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ছয়টি দেহ ময়নাতদন্তের পর তাদের পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাকি আরপিএফ-এর কনস্টেবল সঞ্জয় সাহানি, হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই অমিত ভাওয়ালের দেহ পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


আরও  পড়ুন: Coal Smuggling : High Court-র রায়কে চ্যালেঞ্জ, Supreme Court-র দ্বারস্থ লালা


স্ট্র্যান্ড রোডের অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৯জনের মধ্যে একজনের পরিচয় মিলতে দীর্ঘ সময় লাগে। ওই দেহটি পুরোপুরি ঝলসে দলা পাকিয়ে গিয়েছে। শুধু পায়ের কিছু অংশ ছাড়া পাকি দেহটি এতোটাই বিকৃত হয়েছিল যে তা সনাক্তকরণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।


এদিকে টেলিকম বিভাগের অফিসার, ৫৬ বছরের সুদীপ দাসের খোঁজ তখনও মেলেনি। তাঁর অফিসও ১৩ তলাতেই ছিল। সন্ধ্যা সাতটার পর থেকেই তাঁর ফোন সুইচড্ অফ মেলে। ফলে ওই দেহটির ডিএনএ টেস্ট ছাড়া পরিচয় জানা যাবে না বলে জানায় পুলিস। যদিও এরপরই রেলমন্ত্রকের তরফে পরে জানানো হয় ওই দেহ নিখোঁজ সুদীপেরই। 


উল্লেখ্য, আজ ফের স্ট্র্যান্ড রোডে নিউ কয়লাঘাটা বিল্ডিং-এ ঢুকতে পারে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। ইতিমধ্যেই বাড়িটি সম্পূর্ণ সিল করে দিয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা। দুটি জেনারেটর ভ্যানের সাহায্যে সমান্তরাল একটি সার্ভার সচল রাখা হয়েছে। তার মাধ্যমেই চলছে আসন সংরক্ষণের কাজ।


রেলের নিজস্ব আইটি ব্যাক আপ টিম, রেল টেল,  মূল সার্ভার মেরামতির কাজ চালাচ্ছে। দুপুরের পর  ফরেনসিক টিম আরেক দফা বাড়ির পুড়ে যাওয়া অংশের নমুনা সংগ্রহ করতে পারে। তবে কুলিং ডাউন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর গতকালই ফরেনসিক দল একদফা নমুনা সংগ্রহ করে।