নিজস্ব প্রতিবেদন:  ভোটের সময় কারা অশান্তি ছড়াতে পারে,  তাদের মধ্যে কত জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে, তার তালিকা এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে আজ রাতের মধ্যেই  সিইও দফতরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING



ভোটের সময় বিভিন্ন জেলায় যারা অশান্তি করতে পারে, তাদের নামের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হল। শুক্রবার রাতের মধ্যেই এই তালিকা সিইও দফতরে পাঠাতে হবে। নির্বাচনের সময় সমস্যা তৈরি করতে পারে এমন ৯ হাজার ব্যক্তিকে নিয়ে চিন্তিত নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছে তারা। নবান্ন সূত্রে খবর, অতীতে অপরাধ করার রেকর্ড আছে এমন ৯০০০ জনকে 'trouble maker' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।


আগামিকাল, শনিবার রাজ্যে আসছেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। এই ৯০০০ জনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা আগামিকাল জানাতে হবে কমিশনকে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই  ৯০০০ জনের মধ্যে ৭০০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বা সতর্ক করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এছাড়াও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশ, সরকারি ভবন, রাস্তাঘাট -সহ রাজ্যের যে কোনও জায়গায়  শনিবার সকাল থেকে যেন কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচারমূলক হোর্ডিং কিংবা ব্যানার যাতে দেখতে পাওয়া না যায়। শুক্রবার রাতের মধ্যে তা সব খুলে ফেলতে হবে। শুধু তাই নয়, সব জায়গা থেকে হোর্ডিং-ব্যানার খোলার পর এই সংক্রান্ত রিপোর্ট সিইও অফিসে জমা দিতে হবে। শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সে জেলার ডিএম-দের সঙ্গে বৈঠকের পর নির্দেশ দেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। 


রাজ্যের ২ জেলার ওপর বিশেষ নজর নির্বাচন কমিশনের, ভিডিও-বৈঠকে সিদ্ধান্ত
এদিনের বৈঠকের পর রাজ্যের দুই জেলার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনা বিশেষ করে দমদম ও বারাকপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ চোপড়ার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিশেষ আলোচনা করতে চায় কমিশন। চোপড়ায় ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর এবারের নির্বাচনে সেখানকার পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজর দিতে চাইছে কমিশন। প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার রাজ্যে আসছেন উপমুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।