নিজস্ব প্রতিবেদন: “রাজনৈতিক দলে দু’ধরনের লোক হয় লোভী ও ত্যাগী ।কিছু লোক আছে ইহাও হয় উহাও হয়।এরা ধান্দাবাজ!”  দলীয় বৈঠকে কর্মীদের সচেতন করলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের নির্বাচনকে মাথায় রেখে তৃণমূল সুপ্রিমো এখন দলের শুদ্ধিকরণে ব্যস্ত । একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ হয়ে এখন কড়া ভূমিকায় নেত্রী। বৃহস্পতিবারই দলে বড়সড় রদবদল ঘোষণা করেছেন তিনি। বিজেপির মুখ ভোঁতা করতে হলে আগে যে নিজের দলকেই আরও বেশি সাংগঠনিক করা প্রয়োজন তা ভালো ভাবেই বুঝতে পারছেন দুঁদে রাজনীতিবিদ ।
তাই বিরোধী পক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ের রূপরেখা নির্ধারণের আগে দলীয় বৈঠকে আগে নেতাদেরই পাঠ পড়ালেন নেত্রী। তিনি বলেন, “রাজনীতিতে কিছু ধান্দাবাজ লোক থাকে! যারা একদিকের খবর ওদিকে দেয় । অথচ তারা কিন্তু জানে না যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারাই ফের দলকে খবর দেয়।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নেত্রী এহেন মন্তব্যের আক্ষরিক অর্থ অত্যন্ত গভীর । নাম না করেই তিনি বেশ কয়েকজন নেতাকে সতর্ক করে দেন বলে মনে করছেন অভিজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, ২৪টি জেলার মধ্যে ৭টি জেলার সভপতিকে সরিয়ে দেন নেত্রী।


কোচবিহারের সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি হলেন পার্থপ্রতিম রায়।
নদিয়াতে এতদিন যৌথভাবে জেলার দায়িত্ব সামলাতেন মহুয়া মৈত্র এবং শঙ্কর সিং। এবার আর যৌথ নয়, শুধু মহুয়াতেই আস্থা রাখলেন দলনেত্রী । মহুয়ার লড়াকু মানসিকতা এবং স্বচ্ছ ইমেজকে কাজে লাগাতে চান মমতা। 


বাঁকুড়ার জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যালকে পদ হারাতে হল মমতার ফোন না ধরার জন্য। মূলত জনসংযোগ একদম ছিল না প্রাক্তন জেলা সভাপতির । তরুণ শ্যামল সাঁতরার স্বচ্ছ ইমেজ এবং সবস্তরে গ্রহণযোগ্যতায় এবার আস্থা রাখলেন মমতা। 


বীরবাহা সোরেনকে সরিয়ে ঝাড়গ্রামের জেলা সভাপতি হলেন দুলাল মুর্মু।  শান্তিরাম মাহাতোকে সরিয়ে পুরুলিয়া জেলা সভাপতি করা হল গুরুপদ টুডুকে।
হাওড়াতে কো-অর্ডিনেটর রাজীব ব্যানার্জির সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধ এবং দুর্নীতি নিয়ে বিস্তর অভিযোগের জন্য সরতে হল অরূপ রায়কে। সেই জায়গায় দায়িত্বে এলেন স্বচ্ছ ইমেজের লক্ষ্মীরতন শুক্লা। 

আরও পড়ুন: মুকুল রায়কে ছাড়াই দিল্লিতে বিজেপির নির্বাচন প্রস্তুতির বৈঠক, দিলীপ ঘোষ বললেন...


দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষকে নিয়ে দলের ভিতরেই অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছিল । ভাঙন ধরছিল দলের নিচু স্তরে। সেই জায়গায় দলিত সমাজের এক তরুণ তুর্কি গৌতম দাসকে এবার দায়িত্ব দিয়ে বাজিমাত করতে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।