সুকান্ত মুখোপাধ্যায় : ফের প্রশ্নের মুখে রেলের যাত্রী নিরাপত্তা। দূরপাল্লার ট্রেনে ছিনতাইয়ের শিকার হলেন কুমোরটুলির বাসিন্দা সায়নী মিত্র। ঘটনায় গ্রেফতার হলেন রেলেরই কামরার অ্যাটেনডেন্ট বিজু পাল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাজ জসিডি থেকে তিরুথ এক্সপ্রেসে ওঠেন সায়নী। কলকাতা স্টেশনে তাঁর নামার কথা ছিল। সায়নীর অভিযোগ, রাত দেড়টা নাগাদ ট্রেনের এসি কামরায় ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। হঠাত্ই মাথার কাছে রাখা তাঁর ব্যাগটি কেউ টানাটানি করছে বলে টের পান তিনি। ঘুটঘুটে অন্ধকার কামরাতেই তিনি চোরের পিছু ধাওয়া করেন। চোর চোর বলেও চিত্কার করা শুরু করেন সায়নী। সেই সময়ে ব্যান্ডেল স্টেশনে ঢুকছিল ট্রেন। এসি কামরার দরজা খুলে কামরার বাইরে চোর লাফ দেয়।


গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত সায়নী জানান, সেই সময়ে এসি কামরার লোহার দরজা খোলা ছিল। কামরার অ্যাটেনডেন্টও নিজেরই জায়গায় ছিলেন। তা সত্ত্বেও কীভাবে একজন ব্যক্তি তাঁর ব্যাগ চুরি করে পালালেন, তাই নিয়ে  প্রশ্ন তোলেন সায়নী। তিনি জানান, তাঁর চুরি হওয়া ব্যাগে নগদ টাকা হীরের আংটি, সোনার গহনাসহ লক্ষাধিক টাকার জিনিস ছিল। ছিল গুরুত্বপূর্ণ নথিও।  



সায়নীর অভিযোগ, এর পরেও রেল পুলিস আসেনি। অবশেষে টুইট করে রেলের কাছে গোটা বিষয়টি জানান তাঁর স্বামী। তার পর রেল পুলিস তত্পর হয়। অ্যাটেনডেন্ট বিজু পাত্রকে আটক করে পুলিস। পরে কলকাতা স্টেশনে এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। তার পরেই বিজু পাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। 



আরও পড়ুন : ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ, গৃহশিক্ষককে রাস্তায় ফেলে মার এলাকাবাসীর


গোটা ঘটনায় তীব্র আতঙ্কে ভুগছেন সায়নী। তিনি বলেন, "বারো বছর ধরে ট্রেনে সফর করছি। এমন অভিজ্ঞতা প্রথম। এবার থেকে নিরাপত্তাহীন ট্রেনে যাতায়াতের আগে দশবার ভাবব।"


এর আগে গত অগস্টে মথুরাতে ছিনতাইবাজ ধাওয়া করতে গিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় দুর্গাপুরের মা-মেয়ের। বুধবারের ঘটনা যেন আবারও আঙুল তুলল রেলের নিরাপত্তাহীনতার সেই ছবির দিকে।