অয়ন ঘোষাল: বানতলা চর্মনগরীর বর্জ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের অচলাবস্থার জেরে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আর্জি ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের ১৫২ সদস্যের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত ৭ এপ্রিল। সেদিন রাতের শিফটে কাজে আসা চার স্থায়ী শ্রমিককে মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করার দায়ে সাসপেন্ড করে ক্যালকাটা লেদার কমপ্লেক্স ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশন কতৃপক্ষ।


এই চার জন, অপু মন্ডল, স্নেহেশ চক্রবর্তী, নারদ মন্ডল এবং অষ্ট মন্ডল ট্যানারি বিভাগের বর্জ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কর্মী। এর জেরে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রাকেশ রায় চৌধুরীর সঙ্গে তীব্র বিরোধ শুরু হয় ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান আহমেদ খানের।


১০ এপ্রিল ক্যানিং এর বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ রাকেশের ডাকে, এই চারজনকে অবিলম্বে কাজে ফেরানোর দাবিতে ধর্মঘটে চলে যান এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের বাকি ১৯৫ জন শ্রমিক। সেই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত নিজেদের দাবিতে অনড় হয়ে তারা প্ল্যান্টের গেটের সামনে রীতিমতো মঞ্চ বেঁধে অবস্থান ধর্নায় বসে আছেন। গেট বন্ধ থাকায় সেদিন থেকেই এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট অচল।


আরও পড়ুন: Mango Sell | Cyclone Mocha: পর্যাপ্ত ফলনের বাড়া ভাতে শিলাবৃষ্টির ছাই, এই বৈশাখেও আম-লিচু অধরা মধ্যবিত্তের


বিভিন্ন চর্ম কারখানার দুর্গন্ধময় কেমিক্যাল মিশ্রিত জল এখন গোটা চর্মনগরী জুড়ে থই থই করছে। অচলাবস্থার জেরে ইতিমধ্যেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ইমরান। গোটা বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেওয় হয়েছে।


বানতলা চর্মনগরী নামে লেদার কমপ্লেক্স হলেও, এখানে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু আইটি কোম্পানি তাদের অফিস খুলেছে। এরমধ্যে কগনিজেন্টের মতো কোম্পানিও আছে। এই ধরনের গা জোয়ারিতে একদিকে যেমন ট্যানারি মার্চেন্টদের দৈনিক কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই পরিস্থিতি দেখে বহুজাতিক বেশ কিছু কোম্পানি এখানে আর বিনিয়োগ করতে চাইছে না বলে ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের দাবি।


আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: কালো টাকা সাদা করতে অনুব্রতর হাতিয়ার ছিল লটারি, কীভাবে করা হতো পুরস্কারের ব্যবস্থা!


অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, চর্মনগরীর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না থাকা সত্বেও রাকেশের ছেলেরা প্রতিদিন লেদার কমপ্লেক্স এলাকায় বাইক বাহিনী নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পাল্টা ধর্মঘটি শ্রমিকরা দাবি করেছেন, ঘটনার রাতেই মদ্যপ বলে অভিযোগ ওঠা চার শ্রমিককে নিয়ে তারা থানায় গিয়েছিলেন। সেখানে পুলিস তাদের ব্রেথ অ্যানালাইজ পরীক্ষা করে। পরীক্ষায় তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়। তারপরেও কতৃপক্ষ তাদের সাসপেন্ড করেছে।


সমস্ত অভিযোগের তির যার বিরুদ্ধে, ভাঙড়ের সেই প্রভাবশালী INTTUC নেতা রাকেশ জি ২৪ ঘন্টাকে জানিয়েছেন, ‘অভিযোগ কাল্পনিক, মন গড়া। দল পাশে আছে’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)