Mamata-র বরাদ্দে Modi-র উদ্বোধন, দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর সূচনায় দাবি TMC-র
২০১১ সালে রেল বাজেটে নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর-সহ একাধিক মেট্রোপথের ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গের রেলপ্রকল্পগুলির জন্য বাজেটে বরাদ্দ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটের তথ্যও তুলে ধরলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien)। তাঁর বক্তব্য, ২০১১ সালে নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর জন্য বাজেটে বরাদ্দ করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফলে, ভোটের আগে মেট্রোর সম্প্রসারিত অংশ নিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক তরজা।
ঘটনা হল, ২০১১ সালে রেল বাজেটে নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর-সহ একাধিক মেট্রোপথের ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর মধ্যে কেটে গিয়েছে ১০টা বছর। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) সবুজ পতাকা দেখানোর পর গড়াতে শুরু করল নোয়াপাড়া-দক্ষিণশ্বর মেট্রো। তার আগে হুগলির সাহাগঞ্জে ডানলপ মাঠে দলীয় জনসভায় নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেন,'পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ করে বিশ্বে বহু দেশ দারিদ্রমুক্ত হয়েছে। কিন্তু কয়েক দশক ধরে ভারতে পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ হয়নি। এবার কেন্দ্রীয় সরকার পরিকাঠামোয় নজর দিয়েছে। সেজন্যে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করতে আসা। মেট্রো রেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত হবে।' পরে নোয়াপাড়া দক্ষিণেশ্বের মেট্রোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও মোদী (Narendra Modi) বলেন,'এই মেট্রোপথ চালু হওয়ায় ১ ঘণ্টায় গড়িয়া স্টেশনে পৌঁছে যাবেন সাধারণ মানুষ। সড়কপথে তা লাগে আড়াই ঘণ্টা।'
স্বাভাবিকভাবে, প্রধানমন্ত্রীকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। PIB -র নথির অংশ তুলে জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন টুইট করেছেন,'বাংলায় নতুন রেলপথের সূচনা করেছেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারিই রেল বাজেটে বরাদ্দ করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিস্টার টেলিপ্রম্পটারের মিথ্যা ফাঁস করে দিয়েছে পিআইবি-র তথ্য।'
ওই একই মাঠে সভা করতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী । ওই সভা থেকে মোদীর প্রতিটি অভিযোগের জবাব দিতে পারেন তিনি। সেই আভাসই দিয়েছেন ডেরেক। টুইটারে লিখেছেন, 'টেলিপ্রম্পটার ভাষণ শেষ। দু'দিন পরই ওই মাঠে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খেলা হবে।'
বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করে বিজেপি নাম কিনতে চাইছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। পাল্টা শাসক দলের বিরুদ্ধে উন্নয়নবিরোধী বলে প্রচার করছে বিজেপি। ফলে, ভোটের আগে প্রকল্প নিয়েও জমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন- জাভড়েকরের সঙ্গে এক মঞ্চে ঋতুপর্ণা, আবীর, পাওলিরা