নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত বেহালার ১১৮ নম্বর ওয়ার্ড আদর্শপল্লি। সংঘর্ষে এক মহিলা সহ ৬ জন আহত হন। তাঁরা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। কী কারণে সংঘর্ষ? উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



১১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির উদ্যোগে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, সেখানে কয়েকজন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। বারো থেকে তেরো জন দুষ্কৃতী বাইকে করে আসে। প্রত্যেকের হাতেই লাঠি, লোহার রড ছিল। আমচকাই তাঁরা হামলা শুরু করে। লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে তারা। ঘটনার প্রতিবাদে বেহালা থানার সামনে অবরোধ, বিক্ষোভে সামিল হয় বিজেপি। ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সংঘর্ষে তৃণমূলের এক কর্মী গুরুতর আহন হন বলে অভিযোগ। এদিকে রায় বাহাদুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ  করে তৃণমূলও।


বিজেপির পক্ষ থেকে বেহালা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিস অবরোধ তুলতে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিসের লাঠি নিজেই হাতে তুলে নেন ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর তারক সিং।  নিজের দায়িত্বেই অবরোধ তোলেন তিনি।


তবে কেন আদর্শপল্লিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল?


সূত্রের খবর,  ঘটনার সূত্রপাত অনেক আগেই। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তথা এলাকার কাউন্সিলর তারক সিংয়ের একসময়ের ডান হাত ছিলেন দীপঙ্কর বনিক ওরফে লিটিল। তিনি ২০১৫ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এলাকায় তাঁর প্রভাব ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। রবিবার বিজেপির উদ্যোগে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তা ছিলেন লিটিল। এই রক্তদান শিবির ঘিরেই বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়ে যায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতী ভাস্করের নেতৃত্বে একটি দল রক্তদান শিবিরে হামলা চালায়। লিটিল ও তাঁর পরিবারের তিন সদস্য গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকাছাড়া লিটিল। এদিকে, তৃণমূলের হামলার পাল্টা বিজেপিও হামলা চালায় এলাকায়। পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও তৃণমূলের দাবি, এই সংঘর্ষ কেবল ব্যক্তিগত কারণেই হয়েছে। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। যদিও বিজেপির দাবি, এই সংঘর্ষের জন্য তারক সিং দায়ী।  


কারও নম্বর বেড়েছে, কারও কমেছে, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতা ফাঁস ক্যাগের রিপোর্টে


কে এই লিটিল?


সক্রিয় রাজনীতি থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায় সরে যাওয়ার পর বেহালার দুটি বরো, সবমিলিয়ে ১৮টি ওয়ার্ডে নিজেদের প্রতিপত্তি বিস্তার করতে চাইছে বিজেপি। মূলত লিটিলের হাত ধরে এলাকায় কিছুটা হলেও নিজের জায়গা করে নিয়েছে বিজেপি। ১১৭,১১৮,১১৯,১২০ নম্বর ওয়ার্ড-এই চারটি ওয়ার্ডে লোকসভা ভোটে লিটিলের হাত ধরে বিজেপি লিড পেয়েছে। ফলে গোটা এলাকার রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। এলাকায় মাঝেমধ্যেই অশান্তি হতে শুরু করে।  


রবিবার রাতের অশান্তির পর সোমবার সকাল থেকে থমথমে এলাকা। আদর্শপল্লি ক্লাবের সামনে পুলিস পিকেট রয়েছে। নতুন করে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায়, সেক্ষেত্রে এলাকার প্রত্যেক গলিতে পুলিস মোতায়েন রয়েছে। তবে এলাকাবাসী আতঙ্কিত। তাঁদের অভিযোগ, পুলিস চলে গেলেই নতুন করে অশান্তি বাঁধবে এলাকায়।