নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির হিন্দুত্বের মোকাবিলায় লোকসভার বছর দুয়েক আগে গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন  থেকে 'নরম হিন্দুত্ব'-এর পথে হাঁটছিলেন রাহুল গান্ধী। হয়ে উঠেছিলেন, শিবভক্ত, পৈতেধারী ব্রাহ্মণ। কিন্তু সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ধর্মের রাজনীতির মোকাবিলায় 'ধর্ম' নয়, বরং মানুষের পাশে থেকে ২০২১ নিশ্চিত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর পাশাপাশি উপনির্বাচনে জয়ের পরও দলকে সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন নেত্রী। তৃণমূলের দাবি, নেত্রীর নির্দেশে সাড়া দিয়েছেন দলের কর্মীরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত লোকসভা ভোটে রাজ্যে প্রথমবার ক্ষমতা টের পাইয়েছে বিজেপি। ১৮টি আসন নিয়ে তারাই এখন বিরোধী পরিসরের একছত্র মালিক। প্রান্তিক শক্তিতে ঠেকেছে বাম-কংগ্রেস। সূত্রের খবর, তৃণমূল মনে করছে, ২০২১ সালেও তার ব্যত্যয় হবে না। মোটের উপরে তৃণমূল বিরোধীদের ভোট গিয়ে পড়বে বিজেপির ইভিএমে। আর সে কারণে বিজেপিকে ভরকেন্দ্র করে 'গেমপ্ল্যান' সাজাচ্ছে ঘাসফুল। তাদের শিবিরে আবার 'বিভীষণ' প্রশান্ত কিশোরও রয়েছেন। ২০১৪ সালে মোদীর 'চায়ে পে চর্চা'র নেপথ্যে মস্তিষ্ক ছিল প্রশান্তের। বিজেপির আটঘাঁট সম্পর্কে অবহিত। ফলে ২০২১ সালে 'কাঁটে কা টক্কর' হতে দেখতে চলেছে বঙ্গীয় রাজনীতি।                             


বিজেপির সঙ্গে টক্কর নিতে 'নরম হিন্দুত্ব' হাতিয়ার হয়েছিল রাহুল গান্ধীর। কিন্তু সাফল্য মেলেনি। বিশেষজ্ঞ আগেই সাবধানবাণী দিয়েছিলেন, হিন্দুত্বের রাজনীতিতে বিজেপির সঙ্গে লড়াই মানে বিপক্ষের মাঠে গিয়ে খেলা। এটাই তো চায় গেরুয়া শিবির। তৃণমূলও ইতিমধ্যে সেই ফাঁদে পা দিয়েছে। রাজ্য রাম নবমী, হনুমান জয়ন্তী উদযাপনে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। কিন্তু এবার আর সেই পথে হাঁটবে না তারা।  ধর্মীয় রাজনীতি থেকে তফাত্ রেখে উন্নয়নের প্রচার জনমানসে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। 



পঞ্চায়েত ভোটের থেকেও জরুরি পাঠ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মানুষের ভোটাধিকারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ভোটে। এর সঙ্গে লাগামহীন হিংসা। তার ফল হাতেনাতে লোকসভা ভোটে পেয়েছে তৃণমূল। উপনির্বাচনে তাই কড়া নজর রেখেছিলেন তৃণমূল নেতারা। সামনে রাজ্যের একাধিক পুরসভার ভোট। ২০২১ সালের আগে কার্যত সেমিফাইনাল। দলের উপরতলা থেকে নিচুতলায় নির্দেশ গিয়েছে,পুরভোটে কোথাও যেন বলপ্রয়োগ না করা হয়। উপনির্বাচনের পর বিরোধীদের পার্টি অফিস দখল করার অভিযোগ এসেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। সেনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।                        


এখনও পর্যন্ত 'দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে এসেছে ২০ লক্ষ ফোন। নেতারা গিয়েছেন ৬০০০ গ্রামে। দলের নির্দেশ, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। তাদের সুখ-দুঃখ, অভাব অভিযোগ শুনে করতে হবে প্রতিকার। এর সঙ্গে সমানতালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর মতো প্রকল্প, রাস্তাঘাটের উন্নতির কথাও ঢালাও প্রচার করতে হবে কর্মীদের। 


আরও পড়ুন- রাজ্যের উপকূলে শিল্প গড়তে চলছে মমতার সরকার, তৈরি নীল নকশা