Firhad Hakim: ‘অনুব্রত সঙ্গে নেই, কর্মীরা আছে’ নমাজ শেষে বিরোধীদের সতর্কবার্তা ফিরহাদের...
WB Panchayat Election 2023: ঈদের সকালে নমাজ শেষেই বিরোধীদের সতর্কবার্তা দিলেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে যাবেন ববি। তার আগেই তিনি জানিয়েদিলেন মানুষ যাকে যোগ্য মনে করবে তাকে ভোট দেবে, এখানে রেষারেষির জায়গা নেই। পাশাপাশি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিরোধী ভাইদের বলব, শান্তিপূর্ণ থাকতে। বোমা গুলি আমদানি থেকে সরে আসুন’।
অয়ন ঘোষাল: বৃহস্পতিবার সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে ঈদ-উল-আজহা(Eid-Ul-Adha)। প্রতিবছরের মতো এই বছরও ঈদের সকালে নমাজ পাঠ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নমাজের পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন এই ঈদে শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন তিনি।
শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থনা?
ফিরহাদ হাকিম: হ্যাঁ। প্রার্থনা করলাম। যাতে শান্তিতে ভোট হয়। মানুষ যাকে মনে করবে তাকে ভোট দিয়ে দায়িত্বে বসাবে। এরমধ্যে হানাহানি রেষারেষির কোনও জায়গা নেই। যদি আমাকে যোগ্য মনে করে, আমাকে দায়িত্ব দেবে। আপনাকে যোগ্য মনে করলে, আপনাকে দায়িত্ব দেবে। রাজনীতিতে আমি আমার কথা বলব। আপনি আপনার কথা বলবেন। মানুষ বুঝে নেবে কাকে সমর্থন করবে।
আরও পড়ুন- WB Panchayat Election 2023: এবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের হার কম, আদালতে হলফনামায় দাবি কমিশনের
কাল অনুব্রতর বীরভূমে প্রচারে ববি...
ফিরহাদ হাকিম: আমি মনে করি, আমাদের যা সংগঠন আছে, কর্মীরা যেভাবে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে, তাতে বেশিরভাগ আসনে আমরাই জিতব। অনুব্রত আমাদের সঙ্গে নেই। কিন্তু কর্মীরা আছে। মানুষ আছে। মমতা ব্যানার্জির ছবি ও তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে যারা রাস্তায় নামে, মানুষ তাদের সঙ্গে আছে।
জালি ব্যালট পেপার?
ফিরহাদ হাকিম: পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়? নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। প্রথমে সন্ত্রাস, পরে বাহিনী, তারপর মনোনয়ন নিয়ে নাচানাচি করল। সেগুলো সব যখন সমাধান হয়ে গেল, তখন ভুয়ো ব্যালট পেপারের গল্প। হারের অজুহাত খাড়া করে রাখল। পিনে ওয়ালে কো পিনে কা বাহানা চাহিয়ে। হারনে ওয়ালে কো হারনে কা বাহানা চাহিয়ে।
আরও পড়ুন- Eid-Al-Adha 2023: বৃষ্টির ভ্রূকুটি মাথায় নিয়ে কলকাতায় ঈদ পালন, নমাজে মুখরিত রেড রোড
শান্তিপুর্ণ ভোট হবে?
ফিরহাদ হাকিম: বিরোধী ভাইদের বলব, শান্তিপূর্ণ থাকতে। বোমা গুলি আমদানি থেকে সরে আসুন। পায়ের তলায় মাটি নেই বলে এগুলো করবেন না। পুলিসকে বলব, সতর্ক ভাবে বাংলার মানুষকে ভোটাধিকার পালনের সুযোগ করে দিন। ২০১১ এবং ২০১৬ তে কেন্দ্রীয় বাহিনী মুড়ে দিয়ে ভোটে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে মানুষ ছিলেন, এবারেও যত ইচ্ছা বাহিনী আসুক, তৃণমূল মানুষের ওপর ভরসা করে। এবং মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর। বিরোধিরা এবার আর বলতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস করছে। বাহিনী এসে গেছে। উত্তেজনা এবং মারপিট করবেন না। মানুষ পাত্তা দেবে না।
রোজ শিরোনামে কোচবিহার কেন?
ফিরহাদ হাকিম: কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়ে আমাদের চার ভাইকে মেরে ফেলেছে। কোচবিহার বর্ডার এলাকা। শীতলখুচিতে মেরে ওপারে চলে যাচ্ছে। বি এস এফ নিষ্ক্রিয়।