শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: CAA আতঙ্কে 'আত্মহত্যা'! ভোটের মুখে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মৃতের বাড়িতে তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। 'ভারতীয় জনতা পার্টি ও সরকার যেটা করছে, সেটা অত্যন্ত মারাত্মক', বললেন মন্ত্রী শশী পাঁজা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Sabyasachi Dutta: 'চিঠি দিয়েও কোনও সদুত্তর পাইনি', বিধাননগরে বেআইনি নির্মাণ প্রশ্নে বিস্ফোরক সব্যসাচী


জানা গিয়েছে, মৃতের নাম  দেবাশিস সেনগুপ্ত। বাড়ি, কলকাতা নেতাজি নগরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামে আত্মহত্যা করেছেন সুভাষগ্রামে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কবে? গতকাল, বুধবার।


কেন চরম সিদ্ধান্ত? দেশজুড়ে লাগু হয়ে দিয়েছে CAA। পরিবারের লোকেদের দাবি, গত কয়েক দিন ধরেই আতঙ্কে ভুগছিলেন দেবাশিস। বারবার বলছিলেন, তাঁকে যদি সত্য়িই দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়, তাহলে  কী করবেন? আতঙ্কের কথা নাকি জানিয়েছিলেন বাড়ির লোকেদের! এরপর ১৯ তারিখ, মঙ্গলবার সুভাষগ্রামে মামার বাড়িতে যান ওই যুবক। গতকাল, বুধবার মামার বাড়িতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, CAA আতঙ্কেই আত্মহত্য়া করেছেন দেবাশিস। নেতাজিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। তদন্তে নেমেছে পুলিস।



তৃণমূল সূত্রের খবর, এই ঘটনার উদ্বিগ্ন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর নির্দেশেই এদিন নেতাজি নগরে দেবাশিসে বাড়িতে যান শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ-সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সঙ্গে ছিলেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষও।


শশী পাঁজা বলেন, 'ভারতীয় জনতা পার্টি ও সরকার যেটা করছে, সেটা অত্যন্ত মারাত্মক। মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে! একজন বলছে, আমাকে এই দেখাতে হবে, সেই দেখাতে হবে। আধার কার্ড রয়েছে, ভোটার কার্ড রয়েছে,তার মধ্যে এই আতঙ্কটা আসবে কেন! এত মৃত্যু, আত্মহত্যা পরে আপনারা কবে বুঝবেন!  আতঙ্ক এটাই ছিল যে দেশ ছাড়া হয়ে যাবে, মাটিছাড়া হয়ে যাবে। অথচ দেবাশিস কালীঘাটের কাছে সাউথ সার্ববান স্কুলে পড়াশোনা করেছে। খেলাধুলাতে খুব মেধাবী ছিল। তাঁর বাবা ভেঙে পড়েছে'।



চুপ করে থাকেনি বিজেপিও। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, 'সিএএ নিয়ে মারা যাওয়ার কোনও কারণ হয়নি। তৃণমূল যে বিভ্রান্তি তৈরি করে মানুষের মনে উদ্বেগ তৈরি করছে। তাতেও মারা যাওয়ার কারণ নেই। আর কারও বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নিতে হয়, তাহলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সিএএ মানুষকে বাঁচানোর আইন, মেরে দেওয়ার আইন নয়। সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, নেওয়া নয়'।



এদিকে তৃণমূল প্রতিনিধিরা তখন পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলছেন। মৃতের বাড়িতে যান যাদবপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, 'বিজেপি সিএএ এনে, বাঙালি উদ্বাস্তু মানুষের অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলে যাদবপুরের সাংসদ, যেদিন সিএএ লাগু হচ্ছিল, সেদিন সাংসদে সিএএ-র বিরুদ্ধে ভোট দেননি কেন? তৃণমূলের ৮ সাংসদ সেদিন ভোট দেননি। সিএএ আতঙ্কে যেন কোনও মানুষ না ভোগে, আমরা দাবি করছি, NRC, CAA, যা বিধি হয়েছে, গবীর মানুষকে বিপদে ফেলা, সংখ্য়ালঘু শুধু নয়, এমনকী হিন্দু, উদ্বাস্তু মানুষও বিপদে পড়বে। আমরা লড়াই করব। কিন্তু সেটা কেন্দ্র করে নিজেদের অপকর্ম চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে, লাল ঝান্ডা সেটা মানবে না'।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)