EXCLUSIVE: সংঘাত তুঙ্গে! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে সবর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের হিংসাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন তিনি।
মৌপিয়া নন্দী: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে সংঘাত তুঙ্গে। 'সার্কিট হাউসে কীভাবে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক'? স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের চিঠি দিল তৃণমূল।
পঞ্চায়েত ভোটে 'সক্রিয়' রাজ্যপাল। মনোনয়ন পর্বে অশান্তির পর, ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২ দিনের উত্তরবঙ্গে সফরে কোচবিহার যান সিভি আনন্দ বোস। বাদ দেননি দিনহাটাও। কলকাতা ফেরেন এদিন। কিন্তু রাজভবন নয়, শিয়ালদহ স্টেশন থেকেই বাসন্তীদের উদ্দেশ্য রওনা দেন রাজ্যপাল।
শনিবার রাতে বাসন্তীতে খুন হন যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা। নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, কন্ট্রোলরুমও খুলেছেন রাজভবনে। কেন? নির্বাচন কমিশন লিখিত অভিযোগ জানাল তৃণমূল।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ
-------------------------------
'সরকারি গেস্টহাউসে কীভাবে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক'?
'নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন রাজ্যপাল'।
‘অবান্তর বিবৃতি দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন রাজ্যপাল’।
‘নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যপাল’।
‘পদের ক্ষমতাবলে রাজভবনে তথাকথিত কন্ট্রোল রুম খুলেছেন’।
‘বিডিওদের কাছ থেকে মনোনয়নের খুঁটিনাটি তথ্য জানতে চাইছেন’।
‘রাজ্য ও কমিশনকে অন্ধকারে রেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক ’।
‘কেন্দ্রের বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গেও বৈঠক করছেন রাজ্যপাল’।
‘বিজেপি সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের’।
‘রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা না বলেই বৈঠক’।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যেখানে গণতান্তিক পরিবেশ আক্রান্ত হয়ে গিয়েছে, সংবিধান আক্রান্ত, সেখানে রাজ্যপাল তো চেষ্টা করবেনই। রাজ্যপাল সংবেদনশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে যেকোন মানুষই দেখা করতে পারেন। কারও সঙ্গে দেখা করা তো অন্যায় নয়। যেকোনও দলের কর্মীরা যদি যান, তাঁর সঙ্গে রাজ্যপাল দেখা করছেন'। তাঁর মতে, 'আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যখন রাজ্যপাল যেতে চাইছে, তখন পুলিস বাধা সৃষ্টি করছে। রাজ্যপালের বদন্যতাতেই এই সরকার টিকে আছে'।
সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য কটাক্ষ, 'আমি জানি না, তৃণমূল কংগ্রস নেতারা কার পরামর্শে এরকম বকচ্ছপ যুক্তি খাঁড়া করছেন। নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তাঁরই নিযুক্ত এক আধিকারিককে! তার মানে, কালকে থেকে এটা হবে, মুখ্যসচিবের কাছে অভিযোগ করা হবে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে'। তাঁর দাবি, 'এসব করে আসলে রাজ্যপালের হাতকেই শক্ত করছে। তৃণমূল পরিকল্পনা করেই রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। যাতে সাংবিধানিক হস্তক্ষেপ হয় এবং তৃণমূল পিঠ বাজিয়ে পালাতে পারে'।