WB Panchayat Election 2023: `তৃণমূল যদি বুথে অরাজকতা করত, তাহলে ৯০-৯৫ শতাংশ ভোট পড়ত`!
`ভোটের দিন মৃত্যু সংখ্যার ৭০ শতাংশ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মারা গিয়েছেন। এটাতে কি প্রমাণ হয় না, তৃণমূল সহনশীলতা দেখিয়েছে?`
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তিতে 'বিস্ফোরক' হুমায়ুন কবীর। 'ভোটের দিন মৃত্যু সংখ্যার ৭০ শতাংশ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মারা গিয়েছেন। এটাতে কি প্রমাণ হয় না, তৃণমূল সহনশীলতা দেখিয়েছে?' পাল্টা প্রশ্ন তুললেন সাংসদ শান্তনু সেন।
আরও পড়ুন: Humayun Kabir: 'এত লোকের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না', মর্মাহত হুমায়ুন কবীর
ঘটনাটি ঠিক কী? পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল, শনিবার দিনভর অশান্তি চলে গোটা রাজ্যেই। সঙ্গে ছাপ্পা ভোট! ৭ জেলার ভোটের বলি ১৭ জন। 'আতঙ্কিত' খোদ পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
জি ২৪ ঘণ্টাকে হুমায়ুন কবীর বলেন, 'এত লোকের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না, এখনকার দিনে, ২০২৩-এ বসে। যেখানে আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বারবার করে বলেছে, যেভাবেই হোক গ্রাউন্ড লেভেলে আমরা যারা কাজ করছি, আমাদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছয়নি বা আমরা সাধারণ কর্মীদের মধ্যে পৌঁছে দিতে পারেনি। বিরোধী দল যাঁরা রয়েছে, তাঁদেরও দায়িত্ব ছিল যাতে মানুষের মৃত্যুটা না হয়'।
পঞ্চায়েত ভোটে কাকে প্রার্থী হিসেবে চান? সাধারণ মানুষের মতামত জানতে রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ যাত্রা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসূচির নাম, 'তৃণমূলে নবজোয়ার'। হুমায়ুন কবীর বলেন, 'এবার আমি খুব আশাবাদী ছিলাম যে, আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আন্তরিকভাবে বলেছেন, রক্তপাতহীন ভোট হবে। বিরোধীরা নমিনেশন দেবে। বিরোধীদের ভোট দেওয়াটা নিশ্চিত করতে হবে। নবজোয়ারের সময়ে প্রোগামগুলি করছিলেন, আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম'।
কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের? সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'বিরোধী দল যেভাবে সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করল। নির্বাচনের কিছুদিন আগে বিরোধী নেতৃত্ব যেভাবে সারা বাংলায় ঘুরে ঘুরে, সন্ত্রাসকে উসকানি দিয়ে, তাঁদের ক্যাডারকে উজ্জীবিত করল সন্ত্রাস করার জন্য। তৃণমূল কংগ্রেস যদি বুথে অরাজকতা করত, তাহলে ৬০-৬২ শতাংশ নির্বাচনে ভোট পড়ত না, ৯০-৯৫ শতাংশ ভোট পড়ত। যেগুলি বিজেপিশাসিত রাজ্য়গুলিতে হয়'।
আরও পড়ুন: Governor CV Ananda Bose: পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই দিল্লি সফরে রাজ্যপাল
হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যকে অবশ্য আমল দিতে নারাজ বিরোধীরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, '২০১৮ সালে যখন নির্বাচন হয়েছিল, তখন তো উনি প্রশাসনে ছিলেন। তখন দেখেছেন, কীভাবে নির্বাচন হয়, এই পার্টি কীভাবে করেছে। তারপর এই পার্টিতে যুক্ত হলেন কী করে? হঠাৎ কী মতিভ্রম হয়েছিল, ক্ষমতা টানে চলে গিয়েছিলেন নাকি'!
কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির কটাক্ষ, 'এতই ভদ্রলোক যদি হত, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস করার কী আছে? তৃণমূল দলের থাকবে, তৃণমূল দলের বিধায়ক-মন্ত্রী হয়ে থেকে, আবার এই সমস্ত কথাবার্তা, এগুলি ধোপে টেকে না, মানুষ এগুলি জানে। গোরু দুধে সোনা খোঁজা যেতে পারে,কিন্তু তৃণমূলে ভদ্রলোক খুঁজে পাওয়া যাবে না'।