শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: রাজনীতিতে ফিরলেন মিঠুন চক্রবর্তী। কলকাতায় এসে যখন বিজেপির হয়ে পুরোদমে কাজ করার ইঙ্গিত দিলেন 'মহাগুরু', তখন পাল্টা সুর চড়াল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বললেন, 'যদি কৃতজ্ঞতা বোধ বলে কিছু থাকে, তাহলে মিঠুন চক্রবর্তীর উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে ক্ষমা চাওয়া'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন মিঠুন চক্রবর্তী। ব্রিগেডের সভায় তাঁর হাত পদ্ম-পতাকা তুলে দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্রেফ ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার আহ্বান নয়, বিধানসভা ভোটের প্রচারে গোটা রাজ্য চষে বেড়িয়েছিলেন মিঠুন। বিভিন্ন সভায় 'মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে', 'আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি'-র মতো বিভিন্ন সিনেমার বিখ্যাত ডায়লগও বলতে শোনা যায় তাঁকে। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর রাজনীতির মঞ্চে আর দেখা যায়নি  'মহাগুরু'কে।


আরও পড়ুন: Roopa Ganguly meets Kunal Ghosh: কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকে রূপা, তুঙ্গে জল্পনা


সোমবার ফের কলকাতায় পা রাখেন মিঠুন। শুধু তাই নয়, বিজেপি রাজ্য দফতরে দিয়ে সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহা, রুদ্রনীল ঘোষদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন,'এক বছর ছিলেন কোথায়? কে আসতে বারণ করেছিল? আপনি এত বড় বড় কথা বললেন, তারপর আপনাকে আর দেখাই গেল না'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'প্রথমে এটা বুঝুন, বাংলার মানুষ কেন আপনাকে বা আপনাদের সকলকে প্রত্যাখান করল। পর্দায় মিঠুন চক্রবর্তী নিশ্চিতভাবেই সকলের প্রিয় হতে পারেন। কিন্তু রাজনীতিতে তিনি ফ্লপ, বিশ্বাসঘাতক, বেইমান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইকে বলে ডেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল। ইডি আর সিবিআইয়ের ভয়ে মাঝ-পথে পালিয়ে গিয়ে, বিজেপির হয়ে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিঠে ছুরি মারার জন্য এক বছর আগে বাংলার মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়িয়েছে এই মিঠুন চক্রবর্তী। ওঁনার বাংলায় কোনও রাজনৈতিক গুরুত্ব বা প্রাসঙ্গিকতা নেই'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)