সিউড়ি পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সাসপেন্ড হলেন তৃণমূল বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ। 'দলবিরোধী কাজের জন্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হল স্বপনকান্তি ঘোষকে,' সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিউড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ তুলে আজ বিধানসভায় ধরনায় বসেন সিউড়ির বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ দলের শীর্ষস্তরে অভিযোগ জানিয়েও সুবিচার মেলেনি। ধরনায় বসা বিদ্রোহী বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। ধরনা ছেড়ে স্বপনকান্তি ঘোষকে আলোচনায় বসতে আবেদন জানান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই আবেদন ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই সাসপেন্ড করা হল তাঁকে।


ধরনার জন্য দল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন স্বপনকান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, সাসপেন্ড নয়, বরং দল তাঁকে বহিষ্কার করলেই খুশি হবেন।


এর আগে বিধানসভার বাইরে ধরনার মাঝেই স্বপনকান্তি ঘোষের গাড়ির চালককে সরিয়ে দেয় মার্শাল। কেড়ে নেওয়া হয় সঙ্গে আনা লিফলেটও। বিধায়কের ধরনায় মার্শালের হস্তক্ষেপের কড়া সমালোচনা করন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। এই নিয়ে বিধানসভার ভেতর সরব হন তিনি। একই ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য।


পঞ্চায়েতের টাকা নয়ছয় হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আজ বিধানসভার সিঁড়িতে ধরনায় বসেন তৃণমূলের সিউড়ির বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েতের দশ লক্ষেরও বেশি টাকা নয়ছয় হয়েছে। দল এবং বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েও কোনও ফল হয়নি।