নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের পর বিজেপিতে বেড়েছে যোগদানের আগ্রহ। তৃণমূল ছেড়ে নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে। আর সে কারণে দলের অন্দরে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে নব্য বনাম আদির লড়াই। তার এককাঠি উপরে উঠেছেন শঙ্কুদেব পন্ডা ও অগ্নিমিত্রা পল। টলি কলাকুশলী ও শিল্পীদের জন্য দুজনেই খুলে ফেলেছেন পৃথক সংগঠন। একই শিবিরের দুটি সংগঠন নিয়ে বেজায় বিড়ম্বনায় গেরুয়া ব্রিগেড। একইসঙ্গে প্রকট হল আরএসএস-বিজেপির দড়ি টানাটানিও। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে উদ্যোগী হলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। দিলেন শঙ্কুকে সংগঠন ছাড়ার বার্তা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ' নামে একটি সংগঠন খুলে ফেলেছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। প্রেস ক্লাবে করেছেন সাংবাদিক বৈঠকও। ওদিকে আবার ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার অ্যান্ড কালচারাল কনফেডারেশন নামে আর একটি সংগঠন খুলেছেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী অগ্নিমিত্রা পল। ওই সংগঠনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শঙ্কুদেব দাবি করেন, আরএসএসের অনুমোদিত তাদের সংগঠনের অংশ অগ্নিমিত্রার ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার অ্যান্ড কালচারাল কনফেডারেশন। সেই দাবি উড়িয়ে তাঁর সংস্থা স্বতন্ত্র বলে জানান অগ্নিমিত্রা।



একদিকে আরএসএসের অনুমোদিত শঙ্কুদেব পন্ডার সংস্থা, অন্যদিকে অগ্নিমিত্র পল। টলিউডে একটাই দলের দুটো সংগঠন? অবশ্য শুধু টলিউডেই নয়, নানা ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ব্যাঙের ছাতার মতো সংগঠন খুলে ফেলেছেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী নেতারা। এমতাবস্থায় ঘরের দ্বন্দ্ব যাতে বাইরে না যায়, তা নিশ্চিত করতে আসরে নামলেন মুকুল রায়। বিজেপি নেতার অভিমত, শঙ্কুর মতো নেতার এই সমস্ত বিষয়ে যাওয়া উচিত নয়। রাজ্য রাজনীতিতে ছাত্র আন্দোলনে শঙ্কু সাম্প্রতিককালে একটা নাম। ওই সংগঠন ছেড়ে ওঁর বেরিয়ে আসা উচিত।


শঙ্কু আবার ফেঁসেছেন জাঁতাকলে। বিজেপিতে তাঁর ভূমিকা কী হবে, যোগদানের কয়েক মাস কেটে গেলেও তা বুঝে উঠতে পারছেন না এক কালের ছাত্র নেতা। আরএসএসকে পাশে পেয়ে একটা সংগঠন খুলেছিলেন। কিন্তু যাঁর হাত ধরে বিজেপিতে এসেছেন, সেই মুকুল রায় সঙ্গ দিচ্ছেন না। ফলে শঙ্কুর কাছে সংগঠন ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর উপায়ান্তর নেই। আরও একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, শঙ্কু না হয় ছেড়ে দেবেন, কিন্তু আরএসএস-বিজেপি দ্বন্দ্ব কি মিটবে?


আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: রীতি মেনে নারকেল ফাটিয়ে রথযাত্রার সূচনা নববধূ নুসরতের