মৌপিয়া নন্দী 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাতে কলকাতা শহরেই আক্রান্ত হয়ে পুলিসের সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স। বেশ কয়েকজন পুলিস আধিকারিকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে লালবাজার। ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে পুলিসের কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিলেন নগরপাল অনুজ শর্মা। 


ঊষসীকাণ্ডের পর ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিসের ভূমিকা। ঘটনার পর কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযোগ এলেই নিতে হবে ব্যবস্থা। এক্তিয়ার মেনে কাজ করলে চলবে না। শুক্রবার 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর'-এর নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুলিস। তাতে পুলিসের ব্যবহার ও নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।              



লিখিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নম্র ব্যবহার করতে হবে পুলিস আধিকারিকদের। হতে হবে মনোযোগী শ্রোতা। অর্থাত্ অভিযোগকারী বা অভিযোগকারিণীর কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। শুধু তাই নয়, পেন-কাগজ দিয়ে বাড়িয়ে দিতে হবে সহযোগিতার হাত।


অভিযোগ এলে এক্তিয়ার দেখলে চলবে না। নির্দিষ্ট থানা এলাকার বাইরে হলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে লালবাজার কন্ট্রোলরুমকে। অবহিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে। জানাতে হবে রাস্তায় টহলদার পুলিসকে। এক্তিয়ারের মধ্যে হলে লালবাজার কন্ট্রোলরুম ও টহলদার পুলিসকে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে। রাত বা ভোররাত হলে অভিযোগকারী বা অভিযোগকারিণীর শারীরিক শুশ্রূষার বন্দোবস্ত করতে হবে পুলিসকেই। নাবালক, মহিলা বা রূপান্তরকারীর ক্ষেত্রে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসতে হবে পুলিসকে।


রাস্তায় টহলদার পুলিসকেও সঙ্গে সঙ্গে নিতে হবে সাধারণ ডায়েরি (জিডি)। তা জানিয়ে দিতে হবে লালবাজার কন্ট্রোলরুম ও সংশ্লিষ্ট থানাকে। লালবাজার কন্ট্রোলরুমকে আরও দক্ষভাবে সমন্বয় করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতি হলে সংশ্লিষ্ট পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা।   




সোমবার রাত জেডব্লু ম্যারিয়েট থেকে উবের ধরে বাড়ি ফিরছিলেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্ত। ঠিক ১১টা ৪০ নাগাদ এক্সাইড মোড়ে তাঁর গাড়ির উপরে চড়াও হয় কয়েকজন বাইক আরোহী। চালককে মারধর করতে থাকে তারা। ময়দান থানার পুলিসের কাছ থেকে সাহায্য মেলেনি বলেও দাবি ঊষসীর। দুষ্কৃতীরা তাঁকে বাড়ি পর্যন্ত তাড়া করেছিল বলেও অভিযোগ প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়ার। এরপর চারু মার্কেট থানায় গিয়েও অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি ঊষসী। তাঁকে বলা হয় ভবানীপুর থানায় যেতে। গভীর রাত পর্যন্ত দড়ি টানাটানির পর অবশেষে চারু মার্কেট থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে চারু মার্কেট থানার ডিউটি অফিসার পীযূষ পালকে। একই সঙ্গে শো কজ করা হয়েছে ময়দান থানার অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভবানীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মেনন মজুমদারকে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় শেখ রোহিত, ফরদিন খান, শেখ সাবির আলি, শেখ গনি, ইমরান আলি, শেখ ওয়াসিম ও শেখ আতিফকে। বুধবার তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন আলিপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।  


আরও পড়ুন- এ কেমন মা! প্রেমে বাধা, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে প্রেমিককে দিয়ে খুন করালেন মহিলা