ওয়েব ডেস্ক: জীবনের প্রথম দিনগুলিতেই চূড়ান্ত অমানবিকতার শিকার। অপুষ্টি, রক্তাল্পতায় ভুগছে পূর্বাশা  থেকে উদ্ধার হওয়া দশটি শিশুই। দুধের শিশু। অথচ মেলেনি  মাতৃদুগ্ধ । ফলে রোগজীর্ণ এই শিশুদের ভবিষ্যতই প্রশ্নের মুখে।শিশুরা তাদের কাছে ছিল শুধু মাত্র আয়ের উপায়। পুরোটাই নির্দয় ব্যবসা। শিশুদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে থোরাই কেয়ার করেছে পাচারকারীরা। জীবনের প্রথম লগ্নেই চূড়ান্ত অমানবিকতার শিকার হয়েছে এই শিশুরা। কেমন করে তাদের রাখা হত পূর্বাশা হোমের অন্দরের ছবি এক ঝলক দেখলে তা স্পষ্ট হয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া দশ শিশুর শরীরেও তাই রোগের সংক্রমণ। উদ্ধারের পর জোকা ESI হাসপাতালে চিকিত্সা হচ্ছে এই শিশুদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক হয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক!


পূর্বাশা থেকে উদ্ধার করে আনার সময় কার্যত মৃতপ্রায় অবস্থায় ছিল ১০টি শিশুই। ১০টি শিশুর শরীরে একাধিক রোগের সংক্রমণ রয়েছে। অপুষ্টি, রক্তাল্পতায় ভুগছে প্রতিটি শিশুই।বুকে সংক্রমণ রয়েছে কয়েকজনের।প্রায় প্রতিটি শিশুই চর্মরোগে আক্রান্ত।একটি শিশু থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত বলে আশঙ্কা। জন্মের পর মায়ের দুধ পায়নি কোনও শিশুই। ফলে শরীরে নেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। স্বাভাবিক বৃদ্ধিও হয়নি এদের। হাসপাতালে চিকিত্সকদের বিশেষ দল এই শিশুদের দেখভাল করছেন। চিকিত্সকরা বলছেন যেভাবে এই শিশুদের রাখা হত তা জঘন্য অপরাধের সামিল। টীকাকরণ তো দূরের কথা। প্রয়োজনীয় খাবারও দেওয়া হয়নি এই শিশুদের।সব থেকে বড় কথা মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত করে বরবাদ করে দেওয়া হয়েছে এই শিশুদের শরীর স্বাস্থ্যে ভবিষ্যত। পুরোপুরি সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে এদের।


আরও পড়ুন  বিশ্বের সেরা ১০ হ্যান্ডসাম