পিয়ালী মিত্র


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিলিগুড়িতে সেনাবাহিনীর হেল্পলাইন নম্বর থেকে অফিসারদের ফোনে সন্দেহজনক ফোন কল। সেই সূত্রে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান মিলেছিল দিন কয়েক আগে। ৮ জুন বেঙ্গালুরু থেকে উদ্ধার হয় ৩০টি সিমবক্স। গ্রেপ্তার হয় ২ জন। সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ৫ জনকে।


আরও পড়ুন-'কবে জয়েন করাবে তোমরা? বেশি সময় নেই কিন্তু', মুকুলের BJP-তদ্বির প্রকাশ Babul-র  


উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরু থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও ৬৯টি সিমবক্স।  ১০৯ টি সিমবক্সে সব মিলিয়ে ৩০০০হাজার সিম কার্ড। এক একটি সিমবক্সে ৩০টি সিম। বেঙ্গালুরুর ৬টি জায়গা থেকে অপারেট করত এই চক্র। জঙ্গি গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এই চক্র কাজ করছিল বলে অনুমান। ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে সব কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।


ওই ঘটনার পর ক্রমেই জোরাল হচ্ছে জঙ্গি বা সীমান্তের অপরপ্রান্তে থাকা গুপ্তচর সংস্থা যোগের সম্ভাবনা। গোয়েন্দাদের অনুমান, সেনাবাহিনীর অন্দরের খবর বের করতে সিমবক্সের মাধ্যমে ফোন কল গুলিকে লোকালি রুট করে শিলিগুড়ির সেনার হেল্পলাইন নম্বরে কল করা হত। 


এই সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল বক্স ফ্রড(সিমবক্স) আসলে কী ? 


মূলত দেশের টেলিকম সংস্থাগুলোর বৈধ আন্তর্জাতিক গেটওয়েকে বাইপাস করে বা পাশ কাটিয়ে আইএসডি ও ভিওআইপি কলের জালিয়াতি। বলা যায়, মোবাইল নেটওয়ার্কের একটি অবৈধ প্রক্রিয়া। এই পদ্ধতিতে বিশেষ ডিভাইসের (সিমবক্স) সাহায্যে একসঙ্গে অনেকগুলো সিমকার্ড ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে হাই ব্যান্ডউইথের কেবল সংযোগ ব্যবহার করা হয়। তার পর সিমবক্সের লোকাল সিম নম্বরের মাধ্যমে 'রুট' করে যাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাওয়া হচ্ছে, তাঁকে ভিওআইপি-র (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল) মাধ্যমে কল করা হয়। লোকালি রুট করে আইএসডি ও ভিওআইপি কল করায় টেলিকম সংস্থাগুলির যেমন বিপুল ক্ষতি হয়। তেমনই আসলে বিদেশ থেকে বা কোথা থেকে কল করা হচ্ছে তা বোঝার উপায় থাকে না।


আরও পড়ুন-বিধিনিষেধ বাড়ল ১ জুলাই পর্যন্ত, জেনে নিন কী খোলা, কী বন্ধ 


বছর দুই আগে মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের ইনপুটে কলকাতার লেকগার্ডেন্স থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল এক বাংলাদেশি যুবক। কসবাতে ধরা পড়েছিল একটি চক্র।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)