নিজস্ব প্রতিবেদন: চার বছর আগে পোস্তা ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ার স্মৃতি এখনও অনেকের মনে দগদগে। ওই দুর্ঘটনার এতদিন পর অবশেষে বিবেকানন্দ উড়ালপুল বা পোস্তা ফ্লাইওভার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ভারতের 'প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের' ডোজ নিয়ে সুস্থ দুর্গাপুরের চিরঞ্জিত্, ফিরলেন বাড়িতে



ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে এক মাসের মধ্যে সেতু বিশেষজ্ঞ জি কে রায়নার নেতৃত্বে একটি টেকনিক্যাল কমিটি রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দিয়ে জানাবে সেতুর কতটা অংশ ভাঙতে হবে। অর্থাত্ পুরোটা ভাঙা হবে নাকি অর্ধেক, নাকি এক চতুর্থাংশ, সিদ্ধান্ত নেবে ওই কমিটি। এছাড়া নতুন করে অ্যালাইনমেন্ট বদলও করা যেতে পারে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব, পূর্ত সচিব, পুর সচিব ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-সহ অন্যান্যরা।



দীর্ঘদিন ধরেই পোস্তা ফ্লাইওভার নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। খড়গপুর আইআইটি-সহ অন্য বিশেষজ্ঞরা কেউই পরিষ্কারভাবে ব্রিজ এর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারকে জানাতে পারেনি। মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক রকম আলোচনায় হয়েছিল অতীতে। শেষমেষ ব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তই নিল রাজ্য।


আরও পড়ুন-হিরোশিমার বোমা শিশু! বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের ভিডিয়ো প্রকাশ রাশিয়ার



উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ আচমকাই ভেঙে পড়ে বিবেকানন্দ উড়ালপুল বা পোস্তা ফ্লাইওভার। ভয়ঙ্কর ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। তখনই ব্রিজের ডিজাইন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এনিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সেতুর নির্মাণ সংস্থা IVRCL এর আধিকারিক এবং সাইট ইনচার্জ নিলয় রায়। এজিএস প্রোজেক্ট মল্লিকার্জুন রাওকে এই মর্মে চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। চিঠিতে নিলয় রায়ের দাবি, সেতুর ডিজাইনে গলদের কথা তিনি গত অগাস্ট মাসেই উপদেষ্টা ডিজাইনারকে জানিয়েছিলেন। যদিও উপদেষ্টা ডিজাইনারের দাবি, এধরনের কোনও চিঠিই তিনি পাননি।