ওয়েব ডেস্ক: প্রথম দফার ভোটের শেষে চওড়া হাসি নির্বাচন কমিশনের। জঙ্গলমহলের টেনশনের ভোটে বড়সড়  হিংসা এদিন হয়নি। অশান্তি রুখে ছক্কা হাঁকালেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে খচখচানি থেকেই গেল কমিশনে।  নিরাপত্তার ফোঁকর গলে অনিয়মের কিছু ঘটনাও সামনে এল। ভোটদানে গোপনীয়তা মাস্ট। অথচ বাঁকুড়ার রাইপুরের দু-দুটি বুথে চব্বিশ ঘণ্টার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এমন ছবি। যেখানে ইভিএম একেবারে খুল্লমখুল্লা। আশপাশে কোনও আড়াল নেই। এর জেরে নারানপুর হাইস্কুল ও চাকনারা প্রাইমারি স্কুলে কিছুক্ষণের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। বাঁকুড়া জেলার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফের কমান্ডান্ট বুথে গিয়ে ইভিএম ঘিরে দেন। তারপর ভোটগ্রহণ শুরু হয়।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদিও তৃণমূল প্রার্থী বীরেন্দ্রনাথ টুডু এই অভিযোগ মানতে চাননি। উল্টে আধাসেনাকেই দোষ দিয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বুথ পাহারায় থাকবে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাইরে শুধু লাইন ঠিক রাখবে রাজ্য পুলিস। কিন্তু পুরুলিয়ার বলরামপুরের এই বুথে একেবারে উল্টো ছবি। বুথ পাহারায় লাঠিধারী রাজ্য পুলিস, আর বাইরে লাইন সামলাচ্ছে আধাসেনা। ফল যা হওয়ার তাই! গাড়া ফুসরা প্রাইমারি স্কুলের দুশো উনচল্লিশ নম্বর বুথে দেখা গেল এমন ছবি। তৃণমূলের দুই পোলিং এজেন্ট বহাল তবিয়তে ভোটারদের নির্দেশ দিচ্ছেন।


পুরুলিয়ার মানবাজারের পিয়াশোল গ্রাম। রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করেছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। আরেকটি গোষ্ঠী ভোট দিতে মরিয়া। তা নিয়েই  মারামারি। সংঘর্ষে একজনের মাথাও ফাটে। শেষ পর্যন্ত পুলিসের হস্তক্ষেপে ভোট দিতে ইচ্ছুক গ্রামবাসীরা। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।  অভিযোগ, ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাঁদের ওপর হামলা করেন বয়কটে সামিল গ্রামবাসীরা। পুলিসের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।


পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুরে বিজেপির এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পেটবিন্দি গ্রামের ঘটনা। এজেন্টের অভিযোগ, দুপুরে খেতে যাওয়ার সময় রাস্তায় তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে মেরে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শালবনি বিধানসভার চৌষট্টি নম্বর বুথের ঘটনা।  


ভোটের খবর করতে গিয়ে নিগ্রহের শিকার চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধি। আক্রান্ত অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি বিধানসভার আঁধারনয়ন এলাকার ঘটনা। সিপিএম প্রার্থী শ্যাম পাণ্ডের বক্তব্য নেওয়ার সময় চড়াও হন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। সিপিএম প্রার্থীকে ধাক্কা। সাংবাদিকদের মারধর। কেড়ে নেওয়া হয় ক্যামেরা।