নিজস্ব প্রতিবেদন: রাত থেকেই বৃষ্টি। সকালে আকাশ ঢেকেছে কালো মেঘে। সঙ্গে কখনও থেমে, কখনও টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল কলকাতা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই জমা জলের ওপর দিয়েই চলছে যানবাহন। এই অবস্থা আরও কয়েক ঘণ্টা চললে জমা জলে শহর অচল হওয়ার সম্ভাবনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-স্ত্রীর জন্মদিনে ভিক্টোরিয়ায় বেড়াতে এসে বজ্রপাতে মৃত্যু দমদমের বাসিন্দার  


আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা ও দাক্ষিণবঙ্গে। তবে আগামী ২-৪ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। হাওয়া অফিসের বক্তব্য, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। এতে সক্রিয় হয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। এর প্রভাবেই শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি।



শুক্রবারের বৃষ্টিতেই জল জমে গিয়েছিল তারাতলা, খিদিরপুর, ঠনঠনিয়া, তারাতলায়। আজও প্রায় একই অবস্থা ওইসব এলাকায়। পুরসভার কন্ট্রোলরুমে থেকে জমা জল সরানোর কাজ তদারকি করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।


এদিকে টানা বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে হাওড়ার বিরাট এলাকায়। বিশেষ করে রামরাজাতলা, বেলগাছিয়া-সহ কমপক্ষে ২০টি ওয়ার্ডে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এভাবে আরও কয়েক ঘণ্টা চললে পরিস্থিতি খারাপ হবে। তবে বৃষ্টির জন্যে রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। টিকিয়াপাড়ায় সাধারণত অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। সেকথা  মাথায় রেখে সেখানে ৪টি পাম্প চালু করা হয়েছে।


আরও পড়ুন-এসএসকেএম হাসপাতালে ২ নাবালিকা রোগীর সঙ্গে অশালীন আচরণ, গ্রেফতার ২ গ্রুপ ডি কর্মী


উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গের বেশে কয়েকটি জেলা। এদিন কলকাতা সহ জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বারুইপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতার রিজেন্টপার্ক, ভিক্টোরিয়ায়।


এদিকে, বৃষ্টিতে সাময়িকভাবে ব্যাহত বিমান পরিষেবা। দমদম বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে নামতে পারেনি ব্যাঙ্কক ও দিল্লি থেকে আসা ৩টি বিমান। কলকাতা থেকে দিল্লির উড়ানেও দেরি হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।