Waterlog Kolkata: এক হাঁটু জল হাসপাতালে, ভোগান্তি শহরবাসীর
কলকাতা শহরের জলযন্ত্রণা সমাধানে আধিকারিকরা তৎপর হলেও বিজেপি নেতা অমিত মালব্য টুইট করে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ কালো হয়ে রয়েছে মেঘে। রাত থেকে হতে থাকা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা শহর। এরই মধ্যে সবথেকে বেশি দুরবস্থার চিত্র দেখা গেলো শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে।
সোমবার বৃষ্টিতে জল জমে যায় শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে। এরই ফলে হাসপাতালগুলিতে বিঘ্নিত হয় রোগী পরিষেবা। কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি, মাইক্রোবায়োলজি এবং প্যাথলজি বিভাগে জল ঢুকে যায়। প্রায় হাঁটু সমান জল জমে যায় হাসপাতালে। নীল রতন সরকার হাসপাতালের মূল গেটের কাছে জমে যায় জল। এছাড়াও SSKM হাসপাতালের গাইনোকোলোজি বিভাগ কার্ডিওলজি বিভাগ এবং আউটডোর বিভাগে জমে রয়েছে জল। কার্ডিওলজি বিভাগে প্রায় হাঁটু সমান জল জমে রয়েছে। এছাড়াও কার্ডিওলজি বিভাগের পাশেই রয়েছে টিকিট কাউন্টার। ফলত ভোগান্তির স্বীকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। হাসপাতালে টিকিট কাটা এবং রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করেছে জমা জল। বিভিন্ন জায়গায় জল থেকে বাঁচতে রোগীদের বিছানায় পা তুলে বসে থাকতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: Rajya Sabha Poll: বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় তৃণমূলের Sushmita! Suvendu -র ঘোষণায় স্পষ্ট ছবি
বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রেও ছবিটা অনেকাংশে একই রকম। উডল্যান্ড হাসপাতালের ভেতরে জমে রয়েছে জল। AMRI ঢাকুরিয়া এবং AMRI মুকুন্দপুরের সামনের রাস্তা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। CMRI হাসপাতালের ভেতরেও জল রয়েছে প্রায় হাঁটু সমান। জল রয়েছে এমার্জেন্সিতেও । এরফলে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা গেছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে। এমার্জেসি বিভাগে রোগী নিয়ে আসা এবং তাদের ভর্তি করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সব থেকে বেশি সমস্যা দেখা গেছে করোনার টিকাকরণের ক্ষেত্রে। বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে যাওয়ার ফলে অন্যান্য দিনের মতো দ্রুততার সাথে টিকাকরণ সম্ভব হচ্ছে না।
কলকাতা শহরের জলযন্ত্রণা সমাধানে আধিকারিকরা তৎপর হলেও বিজেপি নেতা অমিত মালব্য টুইট করে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। SSKM হাসপাতালের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে ব্যস্ত থাকলেও গর্ভবতী মহিলারা হাসপাতালে জমা জলের মধ্যে বসে রয়েছেন। SSKM হাসপাতাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্রের মধ্যে পরে বলে জানিয়েছেন তিনি এবং আরও বলেছেন গত ১০ বছরে মুখ্যমন্ত্রী এই নির্বাচনী ক্ষেত্রে কোনো কাজ করতে পারেননি।